অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আইন অঙ্গণ যে বাংলাদেশের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে, হাইকোর্ট যে দেশের সবকিছুতে ইন্টারফেয়ার (হস্তক্ষেপ) করতে পারেন, হাইকোর্টের যে ব্যাপক ক্ষমতা তা- ল’ রিপোর্টাস ফোরামের মাধ্যমে সারাদেশ জানতে পারছে। ল’ রিপোর্টাস ফোরামের নিউজগুলো যখন ব্যাপক প্রচার হচ্ছে সে সময়ে বিচারকরাও অনুপ্রাণিত হয়। বিচারকরাও এখন ভালো নিউজের শিরোনামে অবদান রাখার পক্ষে। সাংবাদিকদের গঠনমূলক প্রতিবেদন আইনাঙ্গনে দুর্নীতি অনেক কমছে।
মঙ্গলবার আইন, বিচার, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টাস ফোরামের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০২৫-২০২৬ সালের কমিটিতে ল’ রিপোর্টাস ফোরামের সভাপতি হিসেবে হাসান জাবেদ ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনিরুজ্জামান মিশন নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ২৭ জুন নতুন কমিটিতে সহসভাপতি পদে আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞা, যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত মুন্না, অর্থ সম্পাদক মনজুর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এস এম নূর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাবেদ আখতার, প্রশিক্ষণ ও কল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস তানভী নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে ওয়াকিল আহমেদ হিরন, বিকাশ নারায়ণ দত্ত, হাবিবুর রহমা ও ফজলুল হক মৃধা নির্বাচিত হন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ল’ রিপোর্টাস ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ও আইনাঙ্গনকে এমনভাবে তুলে ধরছে যাতে এই অঙ্গনে কেউ দুর্নীতি করতে চাইলেও চিন্তা করে। আবার ভাল কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয়। এর পেছনে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের অনেক ভূমিকা রয়েছে। আমি ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য না হতে পারলেও কোর্ট করেসপন্ডেন্ট ছিলাম ঢাকা কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আপনারা (ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম) কিন্তু সাধারণ সাংবাদিক না। সাধারণ সাংবাদিকরা ল’ রিপোর্টিং করতে পারে না। আপনারা আইনজীবীদের সঙ্গে থাকতে থাকতে প্রায় আইনজীবী হয়ে গেছেন। এই অঙ্গনের বিষয়বস্তু, নিয়ম-কানুন বুঝতে হয়। ফলে অন্য অঙ্গনের রিপোর্টারদের চেয়ে আপনাদের অবস্থানটা ভিন্ন। যার প্রতিফলন আপনাদের রিপোর্টিংয়ে উঠে এসেছে। আশাকরি ভবিষ্যতেও আপনারা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন।
বারের সভাপতি আরও বলেন, এখন দেশে সংকট চলছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার আছে, নিয়মিত সরকার নেই। সবকিছু মিলিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র আসবে দেশের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। আশা করছি দেশের গণতান্ত্রিকধারা অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে বিশেষ করে সাংবাদিক ও আইনজীবীরা মিলে প্রতিহত করবো ।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিশেষ করে সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে আমরা (ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম ও আইনজীবীরা) কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি ভবিষ্যতেও একসঙ্গে কাজ করবো। তবে বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, আমরা পেশাজীবী হিসেবে অন্য পেশার প্রতি সম্মাণ রাখবো।
এসময় আরও বক্তব্য দেন সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শাহজাহান সাজু, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার শেখ আলী আহমেদ খোকন, মোহাম্মদ শিশির মনির, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটির সদস্য সচিব গাজী তৌহিদুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব জামিউল হক ফয়সাল, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন ও নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ, আশুতোষ সরকার, সাঈদ আহমেদ খান, মাশহুদুল এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব কাজী আব্দুল হান্নানসহ ল’ রিপোর্টাস ফোরামের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আ. দৈ./কাশেম