মুন্সিগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে সামনে ১৪৪ ধারা ভেঙে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অস্ত্র ও গুলিসহ সাব্বির হোসেন দীপু (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে পালিয়ে গেছে আরও দু’জন।
এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ও আসামির সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে গুরুতর আহত হয়েছে ৩ পুলিশ সদস্য। পরে তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা।
রোববার (২৯ জুন) দুপুর ১টার দিকে মুন্সিগঞ্জে সদর উপজেলার রামপাল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।গ্রেফতার দীপু টংগিবাড়ী উপজেলার বেতকা এলাকার আবুল কালামের ছেলে। তবে বর্তমানে সে নারায়গঞ্জের ফতুল্লা এলাকার বাসিন্দা।
তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাসহ অন্যান্য থানায় অস্ত্র, মাদক, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ প্রায় ১৩ থেকে ১৪টি মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল আলম।
তিনি জানান, দুপুরে পরীক্ষার শেষপর্যায়ে রামপাল কলেজের সামনে সড়কে একটি প্রাইভেটকারের সাথে একটি অটোরিকশার ধাক্কা লাগে।এসময় প্রাইভেটকার চালক দীপুসহ আরও দু’জন গাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় অটোরিকশাচালকের সাথে কথা-কাটাকাটি হয় তাদের।
পরে একপর্যায়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালে প্রাইভেটকার থেকে বেরিয়ে কোমর থেকে অস্ত্র বের করে প্রথমে এক রাউন্ড পরে আরও দুই রাউন্ড গুলি করে গ্রেফতার দীপু।
এরপর উপস্থিত ছাত্র জনতা এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দু’জন। পরে উপস্থিত লোকজন ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তের প্রাইভেট কারে এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় গ্রেফতার ব্যক্তিকে নেয়াও হয়েছে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায়। এ ঘটনায় অস্ত্র ও মাদক আইনে অভিযোগ তোর বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা।
গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত ওই যুবকের কাছে তল্লাশি চালিয়ে ২ রাউন্ড গুলি, একটি ২২ বোরের রিভলভার, ৭০ পিস ইয়াবাসহ প্রাইভেটকার উদ্ধার করে জব্দ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আহতরা পুলিশ সদস্যরা হলেন, হাতিমাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এএসআই) এমদাদুল হক (৪২), পুলিশ সদস্য সাজেদুর রহমান (২৬) ও রবিউল আলম চৌধুরী (৪৯)।
আহত পুলিশ সদস্যরা জানান, এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের সামনে হট্টগোল সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় গ্রেফতার ব্যক্তি প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে বেরিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করে। পরে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের সাথে। এরপর একপর্যায়ে তাকে আটক করা হয়। তবে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে তার সহযোগীরা।
হত পুলিশ সদস্যরা আরও জানায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ ১৩-৭২০৮) ও অটোরিকশার মাঝে সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে। কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা বের হওয়ার সময় সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে। খবর পেয়ে অন্যান্য পুলিশ সদস্য গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।