শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪,
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ই-পেপার

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ধর্ম
কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বেরিয়ে যায় সাদপন্থীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
Publish: Friday, 15 November, 2024, 5:19 PM

রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বেরিয়ে যায় দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। ফলে ফাঁকা হতে শুরু করেছে কাকরাইল মসজিদের আশপাশ। এই মেহনত মাওলানা সাদের কাছে নিরাপদ নয় বলে মত দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিত্ব। তার বিচ্ছিন্ন চিন্তাধারার কারণে এ মত প্রকাশ করে ফাতাওয়াও প্রচার করা হয়।

আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১টার পর অবস্থান ছাড়তে শুরু করে তারা। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নামাজের প্রস্তুতি নেন তারা। জুমার আগে আলোচনা করেন সাদপন্থী ইমাম। এ সময় তিনি বলেন, এটিই হলো সাদপন্থীদের সব থেকে বড় জামায়েত। এ সময় আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় মজমার ঘোষণা দেন ইমাম। তিনি জানান, দেশ বিদেশের অনেকে আসবেন ওই মজমায়। আলোচনা হবে তাবলিগ জামায়াতের মেহনত ও সমসাময়িক বিষয়ে।

জানা যায়, ২০১৭ সালের নভেম্বর দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ নেয়। সেদিন কাকরাইলে দু’দল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। চরম বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় গত ৭ বছর ধরে প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদের এক অংশে তাবলীগ জামাতের বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রক পর্ষদ ‘শূরায়ে নেজাম’ এর অনুসারীরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থীরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। আর মসজিদের অপর অংশে ১২ মাসই ‘শূরায়ে নেজামপন্থীরা থাকেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী তাবলীগ জামাতের মূল নিয়ন্ত্রণ করেন ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন তাবলীগের মুরুব্বী। তাদের সমন্বয়ে যে পর্ষদ গঠিত হয়েছিল, সেটিকে তাবলীগের পরিভাষায় শূরায়ে নেজাম বলা হয়। এই নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের একজন সদস্য হলেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী। জ্যেষ্ঠ সদস্যদের তিরোধানের পর ওই পর্ষদে নতুন সদস্যদের দাখিল মানেননি মাওলানা সাদ। এর পরিবর্তে তিনি নিজেকে একক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রয়াস পান। এর পর থেকেই পর্ষদের অন্য সদস্যদের সাথে তার বিরোধ শুরু হয়। সেখান থেকেই মূলত তাবলীগের এই সঙ্কট শুরু হয়।

পর্ষদের অন্য সদস্যরা মাওলানা সাদকে একক আমির মানতে নারাজ ছিলেন। এর নানাবিধ কারণ রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কারণ হলো, তাবলিগে দ্বিতীয় হজরতজী মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী রহ. শূরায়ে নেজাম চালু করার পর বলেছেন, কাজটি যেহেতু এখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপকতা লাভ করেছে, সেজন্য এখন থেকে আর একক নেতৃত্ব না রেখে নিয়ন্ত্রক পর্ষদের অধীনে পরিচালনা করতে হবে। যেন নিয়ন্ত্রণ সুচারু ও যথাযথ হয়। এরপর থেকেই শূরায়ে নেজাম চলে আসছে। এর বিরোধিতা করে একক নেতৃত্ব দাবি করায় মাওলানা সাদের সাথে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

আ. দৈনিক / কাশেম
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হচ্ছে মার্চে
ঢাবি ক্যাম্পাসে যান চলাচল সীমিত
ভাঙ্গায় পরিবহনের চেকারকে পিটিয়ে জখমঃ কাউন্টারে তালা
ফরিদপুরে ‌কামাল ইবনে ইউসুফের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
ছুটির দিনে জমজমাট চট্টগ্রামের বিজয়মেলা
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

২০০৮ সালের বিধিমালা অনুমোদনের জোর দাবী জমি মালিকদের
শরীয়তপুরের জাজিরায় ইয়াবাসহ দুই মাদককারবারি গ্রেফতার
দ্রোহ ও প্রেমের অমর কবি হেলাল হাফিজ আর নেই
ফরিদপুরে ‌কামাল ইবনে ইউসুফের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
রংপুরে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ পাঁচ নারী
ধর্ম- এর আরো খবর
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : [email protected]
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝