বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত নেতৃত্বকে আর গ্রহণ করবে না, লুটতরাজদের আর গ্রহণ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের । তিনি বলছেন, ‘এদেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল, কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ইসলামী ছাত্র শিবিরের ও ইসলামী আন্দোলনের সাবেক নেতা ও কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মাদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের দ্বীন-ইসলাম কায়েম করতে প্রতি মানুষের ঘরে ঘরে দাওয়াত পৌঁছে দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে মানুষের ভেতরে ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, দেশের মানুষ জানতে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কী করতে চায়।’ এমন সময় তিনি তার দলের আমিরে বক্তব্যের সুপারিশ করেন।
মুহাম্মদ তাহের বলেন, “৫৩ বছর ধরে অনেক দল ক্ষমতায় এসেছে। এখন মানুষ হতাশ, তারা বলতে চায়, ‘যারা দুর্নীতি করবে না, আমরা তাদের দলে যোগ দিতে চাই।’ লাখ লাখ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মানুষের কাছে যান, তারা কোন ধরনের লোককে ক্ষমতায় চায়- দুর্নীতি মুক্ত নাকি লটতরাজদের? এটা প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষ নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক, তারা কোনো স্বৈরাচারকে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে দেয় না।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রশাসন যারা স্বৈরাচার দোসর আছেন, তাদেরকে এখনো অপসারণ করা হয়নি, এদেরকে অপসারণ করুন। যেহারে ময়লা জমেছে তার সব কিছু আপনারা সংস্কার করতে পারবেন না, এটা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রমাণিত যে জামায়াতে ইসলামী দুর্নীতিমুক্ত। আমাকে বলে, আপনাদের দু’জন মন্ত্রী ছিলেন, তারা কেউ দুর্নীতি করেননি। আর যারা আছেন তাদেরকে প্রমাণ করতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত থাকতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। পাঠ্যবইয়ে জামায়েতে ইসলামীর নিয়ে কুৎসিত লেখা ছাপিয়েছে, এগুলো সংস্কার করুণ। এই বই অপবিত্র, এটাকে সাতবার ধুয়ে ফেলুন।’
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলে ছিলাম, কিভাবে আন্দোলন করতে হয় সেটা জানি, যদি দেখতে চান, দেখাব। তাই বলি, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে সরান, শুনেছি যে লাখ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে, ইনি নাকি তার লোক। যারা ইসলামী ব্যাংকের টাকা লুটপাট করেছে তারা দুষ্টু। প্রয়োজনীয় সময় জামায়াতে ইসলামী অন্তর্বর্তী সরকারকে দিতে চায়, তবে সংস্কারের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে।’
আ. দৈ. /কাশেম