শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫,
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ই-পেপার

শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
অর্থ-বাণিজ্য
প্রান্তিক নারীরা ‘নারীই’ রয়ে গেল হতে পারলো না উদ্যোক্তা
মরিয়ম সেঁজুতি
Publish: Thursday, 29 May, 2025, 8:03 PM  (ভিজিট : 55)

শিক্ষা, সংস্কৃতি, চাকরি- এমনকি রাজনীতিতে নারীর প্রনিধাণযোগ্য অগ্রগতি থাকলেও ব্যবসায় তারা এখনো অনেক পিছিয়ে। বিশেষ করে প্রান্তিক ব্যবসায়ী নারীরা পারেনি ঘুরে দাঁড়াতে। তারা যেন নারীই রয়ে গেলো। হতে পারলো না উদ্যোক্তা। নারীদের স্বাবলম্বী করতে আর্থিক খাতে সরকার কিছু ব্যবস্থা নিলেও সে সুফল পাচ্ছেন না তারা। সঠিক পরিকল্পনার অভাব, বন্টন নীতিমালা, প্রশিক্ষণের ঘাটতি, সময়োপযোগী আধুনিক উপকরণের অভাবসহ নানা প্রতিকুলতায় নারীরা ব্যবসায় পিছিয়ে। 

নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা প্রশিক্ষণ, সহজ ঋণ, ট্যাক্স ছাড় ও বাজার সুবিধা দিচ্ছে। এসএমই ফাউন্ডেশন, নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এছাড়া প্রান্তিক নারীদের ব্যবসা সহায়তায় সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশনের সহায়তা ও ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। এছাড়া যেটুকু বরাদ্দ আছে তাও যথাযথভাবে পাচ্ছেন না নারীরা। নীতিগত জটিলতার কারণে আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনিক ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে মোটা সুদে বেসরকারি ভূঁইফোড় এনজিও বা সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে হয়ে পড়ছে আরো কঙ্কালসার। 

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, একজন নারী ব্যবসা শুরু করতে গেলে প্রথমেই তাকে দুটো বাধার সম্মুখীন হতে হয়। উদ্যোক্তা হিসেবে বাধা আর নারী হিসেবে বাধা। উদ্যোক্তা হতে গেলে এসেট ওনারশিপ বা ভূমি প্রয়োজন। আমাদের সমাজে নারীর অবস্থান এখানে খুবই খারাপ। ভুূমির মালিকানা পুরুষের নামেই হয়, নারীর নামে না। এ অর্থনীতিবিদ বলেন, উদ্যোক্তা হতে অর্থের প্রয়োজন হয়। ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হলে কো-  লেটারেল লাগে।

 অথচ তার নামে কোন ভূমি নেই। দ্বিতীয়ত, ব্যবসা করতে হলে তার পেছনে সময় ব্যয় করতে হয়। কিন্তু একজন নারীকে পরিবারের সমস্ত কাজ শেষ করে তবেই অন্য দিকে মনোযোগ দিতে হয়। ড. মুজেরী আরো বলেন, পারিপার্শিক পরিস্থিতিতে নারীদের আর্থিক জ্ঞানের কিছুটা ঘাটতি থাকে। নারীকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে হলে অর্থায়ণে প্রবেশাধিকার দিতে হবে। একই সঙ্গে তাদের এমপাওয়ারমেন্ট করে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, এসএমই খাতে নারীর অবদান কাগজে কলমে তেমন আসে না, তাদেরকে অনেকটাই আন্ডারইস্টিমেট করা হয়। দেখা যায়, নারী উদ্যোক্তা হিসেবে ঋণ নিলেও ব্যবহার করছে কোন পুরুষÑ এটা একটি সমস্যা। এজন্য একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নারীকে দেখতে হলে বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের ক্ষেত্রে নারী বান্ধব পলিসি তৈরি করতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে নারীকে অর্থনৈতিকভাবে শিক্ষিতভাবে গড়ে তুলতে হবে।

অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ এসএমইর মধ্যে মাত্র ৬ দশমিক  ৪৭ শতাংশ নারীদের মালিকানাধীন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পর্যালোচনা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ৩ কোটি ৭ লাখ কর্মজীবীর মধ্যে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশই নারী, যাদের বড় অংশ জড়িত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা কার্যক্রমে। পোশাকশিল্প থেকে শুরু করে হ্যান্ডিক্রাফটস, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ব্যাংকিং, টেলিকম প্রায় সব খাতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। 

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মুসফিকুর রহমান সম্প্রতি বলেছেন, এসএমই খাতের উন্নয়নে আরো বেশি উদ্যোক্তাকে ঋণের আওতায় আনা, এসএমই নীতিমালা ২০২৫ বাস্তবায়ন এবং এসএমই খাত ও উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতি অর্থবছরের বাজেটে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। পাশাপাশি আগামী অর্থবছরের বাজেটে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। তিনি বলেন, মাঝারি শিল্প খাতের অবদান বাড়ানোর লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এসএমই নীতিমালা-২০২৫ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। আমাদের আশা, ২০৩০ সালের মধ্যে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান ৩৫ শতাংশে উন্নীত করতে এবং এ নীতিমালা শতভাগ বাস্তবায়নে এসএমই ফাউন্ডেশনসহ বাস্তবায়ন সহযোগী মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের অনুকূলে নিয়মিত অর্থ প্রয়োজন।

উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম-উই প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, করোনা কালে সাড়ে ৪ লাখ নারী ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত হয়। তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ঝরে পরে। কাঁচা মালের দাম বেশি, পাইকাররা নিজেরাই অনলাইন ব্যবসা শুরু করা, এক জায়গায় নিজেকে আটকে রাখাÑ নারীর পথে প্রতিবন্ধকতা বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

সঠিক পরিকল্পনার অভাব : 
উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিতে নারী উদ্যোক্তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। নারী উদ্যোক্তা তৈরি হলে শুধু নারীর জীবনমান উন্নত হয় না, বরং সামগ্রিকভাবে সমাজ ও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিও নিশ্চিত হয়। তবে বাস্তবতার নিরিখে দেখা যায়, অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও নারীরা উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারছেন না। এর পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হলো সঠিক পরিকল্পনার অভাব। একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, লক্ষ্য নির্ধারণ, বাজার যাচাই, প্রশিক্ষণ গ্রহণ, ঝুঁকি নিরূপণ এবং কর্মকৌশল ঠিক করতে হয়। নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে এই দিকগুলোতে ঘাটতি থাকার ফলে তারা সফলভাবে উদ্যোক্তা হতে পারছে না।

উদ্যোক্তা বিষয়ক শিক্ষার অপ্রতুলতা, নারীবান্ধব পরামর্শ কেন্দ্র ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অভাব, পরিবারিক দায়িত্বের কারণে সময় স্বল্পতা, মানসিক প্রস্তুতির অভাব ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি, সামাজিক নিরাপত্তা ও বাজারে নারী-বান্ধব পরিবেশের অভাবÑ এসব কারণে একজন নারী উদ্যোক্তার সঠিক পরিকল্পনা করা সম্ভব হয় না। হোগলা পাতা দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করেন বগুড়ার নারী উদ্যোক্তা আসমাউল হুসনা। তিনি বলেন, স্বামী আমার সাথে  ব্যবসায় যুক্ত থাকায় পরিবার থেকে তেমন বাধার সম্মুখীন হতে হয় না। তবে এসএমই ফান্ডে বরাদ্দ থাকলেও অনেক সময়ই সহায়তা পাওয়া যায় না। আবার এসএমইর সংজ্ঞা একেক মন্ত্রণালয়ে একেক রকম হওয়ায় সুবিধা পাওয়া আরো কঠিন হয়ে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

নেই প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা:  
বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের বহু নারীর মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ ও দক্ষতা থাকলেও তারা প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা না পাওয়ায় সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়। এতে সম্ভাবনাময় নারী উদ্যোক্তারা পিছিয়ে পড়ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতেও বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক নারী ঋণ নিতে চাইলেও তাদের নিজ নামে সম্পত্তি না থাকায় জামানত দিতে পারে না। তাছাড়া, ব্যাংকগুলো এখনো নারী উদ্যোক্তাদের ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে। অনেক নারী জানেন নাÑ কোথায়, কী ধরনের অর্থায়ন পাওয়া যায়, কীভাবে আবেদন করতে হয় এবং কী দলিল লাগবে। বর্তমান ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ডিজিটাল লেনদেন গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেক নারী উদ্যোক্তা প্রযুক্তিতে দক্ষ না হওয়ায় সুবিধা গ্রহণে পিছিয়ে পড়েন। আবার অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যরা নারীদের ঋণ নিতে নিরুৎসাহিত করে, ফলে তারা আর্থিক স্বাধীনতার সুযোগ হারায়। গ্রামীণ নারীরা সহজে ব্যাংক ঋণ পান না এবং পুঁজির অভাবে আধুনিক যন্ত্রপাতি বা প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে পারেন না। 

বর্তমানে কিছু সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শসেবা দিলেও বাস্তব প্রয়োগে তা যথেষ্ট নয়। ব্যাংকিং পদ্ধতি জটিল হওয়া, জামানতের বাধ্যবাধকতা এবং তথ্য ঘাটতির কারণে অধিকাংশ নারী উদ্যোক্তা আর্থিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয়। 

প্রশিক্ষণের ঘাটতি : 
উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে নারী উদ্যোক্তারা এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে বিবেচিত। তবে বাস্তবতা হলো, নারীদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ থাকলেও প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও প্রস্তুতির অভাবে তারা সফল হতে পারছে না। এর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রশিক্ষণের ঘাটতি। মূলত, একজন উদ্যোক্তার জন্য ব্যবসা পরিচালনার দক্ষতা, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বিপণন কৌশল, প্রযুক্তি ব্যবহার এবং আইনি জ্ঞান অপরিহার্য। সঠিক প্রশিক্ষণ ছাড়া এ দক্ষতাগুলো অর্জন করা কঠিন। নারীরা যখন এ প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হয়, তখন তারা সঠিক পরিকল্পনা, কার্যকর ব্যবসা পরিচালনা এবং টেকসই সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়। 

নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের ঘাটতির অন্যতম কারণগুলো হচ্ছেÑ গ্রামীণ ও মফস্বল এলাকায় নারীদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অপ্রতুলতা, ডিজিটাল মার্কেটিং, ই-কমার্স, অনলাইন লেনদেন, বা সাপ্লাই চেইন সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকা, নারীদের পারিবারিক দায়িত্ব ও সামাজিক সীমাবদ্ধতার কারণে তারা দীর্ঘমেয়াদি বা পূর্ণসময়ের প্রশিক্ষণ নিতে না পারা, অনেক সময় প্রশিক্ষণ কর্মশালাগুলোতে পুরুষদের আধিপত্য থাকে, যা নারীদের অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে।

ছোঁয়া লাগেনি আধুনিকতার : 
বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তারা আত্মনির্ভরশীল হতে নানা ধরনের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে তাদের ব্যবসায়িক প্রচেষ্টায় আধুনিকতার স্পর্শ এখনো যথাযথভাবে পৌঁছেনি। তথ্যপ্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার, ডিজিটাল বিপণনের অজ্ঞতা এবং আর্থসামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা পিছিয়ে পড়েছেন। বেশিরভাগ গ্রামীণ নারী স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহার জানেন না বা সুযোগ পান না। ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন পেমেন্ট, ই-কমার্সের সুযোগ নিতে পারছেন না।

নতুন প্রযুক্তি, ব্যবসা পরিচালনার আধুনিক কৌশল কিংবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। এই ঘাটতির ফলে উদ্যোক্তা হিসেবে তাদের সক্ষমতা সীমিত থাকে।

দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে ভেঙে খাচ্ছে চালান : 
বর্তমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চাপে বাংলাদেশের বাজারে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। মূল্যস্ফীতির এই প্রবণতা সাধারণ জনগণের মতো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, যারা তুলনামূলকভাবে সীমিত পুঁজি, বাজার জ্ঞান ও নেটওয়ার্ক নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কষাঘাতে পুঁজি ভেঙে সংসারে খরচ করতে হচ্ছে। সাধারণত নারী উদ্যোক্তারা সীমিত মূলধন নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। মূল্যস্ফীতির ফলে বারবার পুঁজির ঘাটতি দেখা দেয়, ফলে অনেকেই ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারছেন না। 

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তা: 
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বহুমুখী সহায়তা দিয়ে আসছে। এসএমই ফাউন্ডেশন নারী উদ্যোক্তাদের মূলধারার ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত করতে এবং তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। 
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রধান সহায়তাগুলো হচ্ছে নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক তথ্য সংগ্রহ করে “এসএমই নারী উদ্যোক্তা ডিরেক্টরি” প্রকাশ করা হয়েছে, যা তাদের কাজের পরিধি সম্প্রসারণে সহায়তা করে। এছাড়া এসএমই ফাউন্ডেশন প্রযুক্তি ভিত্তিক সম্ভাবনাময় এসএমই উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ৯% সুদে ঋণ দিয়ে সহায়তা করে।  ব্যাংক ঋণ প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটি চেকলিস্ট তৈরি করা হয়েছে, যা উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করে। 

এসএমই ফাউন্ডেশন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে, যা তাদের ব্যবসায়িক দক্ষতা বৃদ্ধি করে। নারী উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দিতে এসএমই ফাউন্ডেশন “এসএমই নারী পুরস্কার” দিয়ে থাকে যা তাদের উৎসাহিত করে। ব্যবসায়িক পরামর্শ, গাইডলাইন ও পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা দিয়ে থাকে, যা নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনায় সহায়ক। এসএমই ফাউন্ডেশন বিভিন্ন নীতি সুপারিশ ও পরামর্শ প্রদান করে, যা নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করতে সহায়তা করে।

আ.দৈ/আরএস



   বিষয়:  প্রান্তিক   নারীরা   নারীই   রয়ে   গেল   হতে   পারলো   না   উদ্যোক্তা  
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠক রাজনৈতিক সংকট কাটবে: ইসলামী আন্দোলন
ইসরায়েলের হামলার জবাবে পাল্টা শতাধিক ব্যালিস্টিক মিসাইলে ইরানের
লন্ডনে ৪দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরলেন ড.ইউনূস
নগর পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে : ডিএনসিসি প্রশাসক
জাতীয় নির্বাচন এগিয়ে আনায় `গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ: ফখরুল
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

আগতাড়াইল মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উপহার সামগ্রী বিতরণ
নেপাল যাচ্ছেন সাংবাদিক আজাদ ও আবদুর রহমান
ডিএনসিসির উত্তরায় দিয়াবাড়ি কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য এখনো পড়ে রয়েছে
বিমান বিধ্বস্তে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন এক যুবক
গাছের নিচে উদোম গায়ে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন অসুস্থ সমু চৌধুরী
অর্থ-বাণিজ্য- এর আরো খবর
close
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik$gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝