রাজধানী ঢাকার সাভারে মেয়ের বিরুদ্ধে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়ে জান্নাত জাহান শিফা নিজেই জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত ভোর রাতে সাভার পৌর এলাকার মজিদপুরের কাঠালবাগান মহল্লায় এই ঘটনা ঘটে। সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির জানান, ভোর রাতের দিকে জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে শিফা নামে ওই নারী ফোন করে তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যার কথা জানান। পরে পুলিশ মজিদপুরের কাঠালবাগান মহল্লায় গিয়ে তাদের ভাড়া বাসার ৫ম তলার ফ্ল্যাট থেকে শিফার বাবা আব্দুস সাত্তারের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ অভিযুক্ত শিফাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং মরদেহটি সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়।
প্রাথমিকভাবে আটক অভিযুক্ত মেয়ের বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বাবা আব্দুস সাত্তার মেয়ে জান্নাত জাহান শিফাকে যৌননির্যাতন করে আসছিল। এরআগেও নাটোরের সিংড়া থানায় মেয়ের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় সে জেল খেটেছে। সম্প্রতি সাভারের ভাড়া বাসায় মেয়ের সাথে পুনরায় বসবাস শুরু করে মেয়েকে আবারো যৌননির্যাতন শুরু করলে গেল রাতে খাবারের সাথে ২০টি ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে অচেতন করে ভোর রাতে বাবা আব্দুস সাত্তারকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মেয়ে নিজেই।