ক্রিকেট বোর্ডে আর্থিক অনিয়মের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। নাজমুল হাসান পাপনের সময়ের দুর্নীতির খোঁজে বিসিবিতে অভিযান চালায় দুদক। মুজিব শতবর্ষের কনসার্টে ১৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত হচ্ছে বলে জানান সহকারী পরিচালক আল আমিন। বিসিবি প্রধান নির্বাহী অবশ্য আগের বোর্ডের নির্দেশে দায়িত্ব পালনের কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযান। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বিসিবিতে আসেন দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের ৩ সদস্য। তারা হলেন- দুই সহকারী পরিচালক আল আমিন ও মাহমুদুল হাসান এবং পরিদর্শক খলিলুর রহমান।
নাজমুল হাসান পাপনের আমলের ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে ৩টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ। তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগ, টিকিট বিক্রি ও মুজিব শতবর্ষের কনসার্টে বিপুল অর্থ নয়-ছয়ের তদন্ত করছে দুদক।
মুজিব শতবর্ষের কনসার্টে বোর্ডের বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি টাকা। কিন্তু খরচ দেখানো হয় ২৫ কোটি। যদিও বাস্তবে খরচ হয়েছে ৭ কোটি। অন্যান্য খাতসহ ১৯ কোটির নথি পায়নি দুদক।
দুদকের সহকারি পরিচালক আল আমিন বলেন, মুজিব শতবর্ষের প্রোগ্রামে কিছু সমস্যা পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ সম্পর্কে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই বাচাই করে এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে প্রতিবেদন দাখিল করব। সে অনুযায়ী কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী করণীয় কি হবে।
বিপিএলের তৃতীয় থেকে দশম আসর পর্যন্ত টিকিটি বিক্রি থেকে আয় ১৫ কোটি আর ১১তম আসরেই বিক্রি হয়েছে ১৩ কোটির বেশি। ঐসময় দুর্নীতি হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এছাড়া তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগে আগে এন্ট্রি ফি বেশি থাকা ও ক্লাব বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক। ক্রিকেট বোর্ডে এসে কর্মকর্তারা সবধরণের নথিপত্র ঘেটে দেখেন। এগুলো পর্যালোচনা করে শিগগিরই তারা রিপোর্ট দেবেন।
দুদকের সহকারি পরিচালক আরও বলেন, রেকর্ডপত্র যেহেতু আমরা পেয়েছি, সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখলে বুঝা যাবে যে আসলে এখানে প্রকৃতপক্ষে কি সমস্যা।
নাজমুল হাসান পাপনের ক্রিকেট বোর্ডের অন্যতম সহযোগী প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে তিনিও দোষি সাব্যস্ত হতে পারেন। তবে আগেভাগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা তার।
বিসিবির পরিচালক নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা যারা ম্যানেজমেন্ট টিম কাজ করি, আমরা বোর্ডের ডিরেক্টর টিমের অপারেশনাল ফোর্স হিসেবে আমরা কাজ করি। সেক্ষেত্রে আমাদের কাজ হচ্ছে বোর্ডের ডিরেকশন অনুয়ায়ী কাজগুলো সম্পন্ন করা।
ক্রীড়া উপদেষ্টা ও বিসিবির বর্তমান সভাপতি শুরু থেকেই পাপন আমলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে আসছিলেন।