‘আমি বাংলায় গান গাই’ খ্যাত ভারতীয় শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় ইহলোকের মায়া ছাড়লেন আজ। শনিবার সকাল ১০টার দিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইহধাম ছেড়ে যান এই শিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন প্রতুল, ছিলেন আইসিইউতে। জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই শিল্পী। এর মধ্যে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের শরীরে একটি অস্ত্রোপচার হয়। এরপর তার হার্ট অ্যাটাকও হয় এবং তিনি আক্রান্ত হন নিউমোনিয়াতেও। এরপর গত দুই সপ্তাহ হাসপাতালের আইসিইউতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন বরেণ্য এ শিল্পী।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা শোনার পর গত বুধবার সন্ধ্য়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে শিল্পীকে দেখতে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারিও হাসপাতালে দেখতে যান তিনি। সে সময় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে প্রতুল মুখার্জী ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গেয়ে শোনান মমতাকে।
অবিভক্ত পূর্ববঙ্গে জন্ম, পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গে চলে যান প্রতুল। কিন্তু বাঙালিয়ানা আদ্যোপান্ত জড়িয়েছিল তার সঙ্গে। তার কণ্ঠে 'আমি বাংলায় গান গাই' আজও মুখে মুখে ফেরে। পাশাপাশি, 'ডিঙা ভাসাও সাগরে'ও অত্যন্ত পছন্দের ভক্তদের।
প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৪২ সালে বরিশালে। তার আলোচিত অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮), ‘যেতে হবে’ (১৯৯৪), ‘ওঠো হে (১৯৯৪), ‘কুট্টুস কাট্টুস’ (১৯৯৭), ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ (২০০০), ‘তোমাকে দেখেছিলাম’ (২০০০), ‘স্বপনপুরে’ (২০০২), ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’ (২০০৪), ‘হযবরল’ (২০০৪), ‘দুই কানুর উপাখ্যান’ (২০০৫), ‘আঁধার নামে’ (২০০৭)। বাংলাদেশে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সর্বশেষ অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের মার্চে।
এমআাই