জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে পোস্টাল ব্যালটের পরিবর্তে অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা চালুর চিন্তা-ভাবনা চলছে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বলছেন, অনলাইনে ভোট নেয়া সম্ভব। তবে তার আগে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আর রাজনীতি বিশেষজ্ঞ বলছেন, গণতান্ত্রিক চর্চা মজবুতে দেড় কোটির বেশি প্রবাসীকে ভোটের আওতায় আনা জরুরি।
দেড় কোটির বেশি বাংলাদেশি নাগরিক দেশের বাইরে থাকেন, যারা ভোট দেয়ার যোগ্য। এই ভোটার সংখ্যা গড় হিসাবে ৩৭টি সংসদীয় আসনের মোট ভোটারের সমান। কিন্তু তারা ভোট দিতে পারেন না।
ভোট দেয়ার জন্য ২০০৮ সাল থেকে পোস্টাল ব্যালট সুবিধা চালু থাকলেও তা জানেন না বেশিরভাগ প্রবাসী। তারা জানান, পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেয়ার প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ। ফলে মিলছে না সাড়াও। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে আবেদন করেন মোটে ৪০৯ জন।
তাই পোস্টাল ব্যালটের পরিবর্তে অনলাইন ভোটিং চালুর সুপারিশ করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বলছেন, সাইবার নিরাপত্তা শক্তিশালী করা ছাড়া এ পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ ঠিক হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন,
অনলাইন ভোটিংয়ের সময় কিন্তু কোনো ভিজিবিলিটি নেই। ছোট একটা নির্দেশনা দিয়ে এক লাখকে দশে নিয়ে আসা সম্ভব। সফটওয়্যার যিনি পরিচালনা করবেন এবং যার পুরোপুরি একসেস আছে, তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলে পুরো জিনিসটাই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুতে প্রবাসীদেরকে ভোটের আওতায় আনার পরামর্শ রাজনীতি বিশেষজ্ঞের।
এ বিষয়ে ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী বলেন,
ভোট দেয়া থেকে প্রবাসীরা বঞ্চিত হলে তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে। এতে করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াটা সুস্থ ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে বলে মনে করি না।
প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে শিগগিরই ৪০টি দেশে কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এএস//