বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের জন্য আলাদা পোশাক থাকলেও আগামীতে সেটি আর থাকছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। পুলিশ বাহিনীর জন্য পরিবর্তন হতে যাওয়া মূল পোশাকটিই পরবে বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যরা। আগের মতো আর ইউনিট অনুযায়ী আলাদা পোশাক থাকবে না। সবাই একই পোশাক পরবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পোশাকে পরিবর্তন নিয়ে আসছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।
পুলিশের মূল বাহিনীর পোশাকে বদল আসছে। এক্ষেত্রে ডিএমপির পোশাকও বদলাচ্ছে কি না- জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশসহ র্যাব ও আনসারের পোশাক বদলাচ্ছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই তিন বাহিনীর জন্য আলাদা পোশাকের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে। তবে বাহিনী হিসেবে পুলিশের পোশাক বদলালেও তা অন্য ইউনিটগুলোর জন্য বদলাচ্ছে না। যা আছে তা-ও থাকছে না। অর্থাৎ বদলে যাওয়া নতুন পোশাকই পরবে পুরো পুলিশ বাহিনীর সব ইউনিটের সদস্যরা। আমরা সবাই একই পোশাক পরবো।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে দুই লাখ সদস্য আছে। ১৯ হাজার সিভিল স্টাফ আছে। বিভিন্ন ইউনিটে আগে পোশাকের ভিন্নতা ছিল। এটি কার্যকর হওয়ার পর ইউনিটগুলোর জন্য পোশাকে আর কোনো ভিন্নতা থাকবে না। সবাই একই পোশাক পরবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সহ-সভাপতি উমর ফারুক আল হাদী, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্, যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ লাবু, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক জসীম উদ্দীন, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মিজান, নির্বাহী সদস্য জিয়া খান, ইমরান রহমান ও মোহাম্মদ জাকারিয়া।
আ. দৈ/ সাম্য