যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শ্রীনগর বাজার থেকে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলামকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা থানায় জড়ো হন।
শতাধিক নেতাকর্মী থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে চাপে ফেলে এবং একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে গ্রেপ্তারকৃত তারিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এসময় থানার ভেতরে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
ওসি প্রত্যাহার ও মামলা দায়ের:
এই ঘটনার পরপরই শ্রীনগর থানার ওসি কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবার দুপুরে এসআই আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া, পুলিশের ওপর হামলা ও থানার ভেতরে ভাঙচুরের।
বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ:
শনিবার দুপুরে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। তারা দাবি করেন, পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হোক।
সড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে এক ঘণ্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
পুলিশের বক্তব্য:
পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার জানিয়েছেন, এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করা হচ্ছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী নূরজাহান বলেন, “আমরা চাই, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করা হোক। এমন ঘটনা চলতে দেওয়া যাবে না।”
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।