আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, টানা ১৫ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন সরকারের আমলে যারা ঘৃণ্য অপরাধ করেছে সেই সব অপরাধীদের বিচারের বছর হবে ২০২৫ সাল। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামীর ভবিষ্যৎ পুনঃনির্মাণে এবং বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে আলোকিত ভবিষ্যৎ উপহার দেয়ার জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
আজ বুধবার (০১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটা নতুন সূর্যোদয় হয়েছে এবং ২০২৫ সাল আমরা শুরু করতে পেরেছি স্বৈরশাসন মুক্ত পরিবেশে। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের অনেক বড় বড় অগ্রাধিকার আছে। সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার এবং সবাই যেটা চান তা হচ্ছে, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে যে সমস্ত মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে, জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে সেগুলোর সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার শেষ করা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনলের উপরে প্রত্যাশার অনেক বড় চাপ আছে উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে দেশে যে অপরাধগুলো হয়েছে তার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন একটি সঠিক তদন্ত রিপোর্ট বা তদন্ত কার্য। সে তদন্ত কার্য এখন চলমান আছে। তদন্ত কার্য সমাপ্ত হওয়ার সাথে বিচার প্রক্রিয়া শুরু এবং শেষ হওয়ার একটা সম্পর্ক আছে।
নতুন বছরের প্রত্যাশা ও আশাবাদ ব্যক্ত করে তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে একটি আশাবাদ হচ্ছে, ২০২৫ সাল হবে যারা ঘৃণ্য অপরাধ করেছে সেই সব অপরাধীদের বিচারের বছর। সেই আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে কাজ করে চলছি। আমরা চেষ্টা করব, ২০২৫ সাল যেন বাংলাদেশের সুবর্ণ ইতিহাসের বছর হয়। আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি যে ২০২৫ সাল অবশ্যই অপরাধীদের বিচারের বছর হবে।
আ. দৈ. /কাশেম