কক্সবাজারের চকরিয়ায় ও রামুতে যথাযোগ্য মর্যাদায় খ্রীষ্টালম্বী সম্প্রদায়ের শুভ বড়দিনের উৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫ ডিসেম্বর (বুধবার) মালুমঘাটের মেমোরিয়াল ব্যাপ্টিস্ট মন্ডলী,বমুবিলছড়ি ও হারবাং ইউনিয়নের সূর্যোদয়ের পরে ধর্মীয় গ্রন্হ পবিত্র বাইবেল পাঠ আর প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।
সকাল ৯টার দিকে সম্মানিত অতিথিগণ উপস্থিত হলে,তখন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন করা হয়। তাপরে বড়দিন ও যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন এবং উৎসব উদযাপন নিয়ে বক্তব্যে উপস্হাপিত হয়েছে।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান, চকরিয়া সার্কেল (এএসপি) রকিব-উজ-জামান রাজা, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুর কাদের ভূইঁয়া র্যাব-দেবজিৎ পাল, ডুলাহাজারার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া, ডুলাহাজারার প্যানেল চেয়ারম্যান-২ রিয়াজ উদ্দিন শিপু, খ্রীস্টধর্মের পালক থিয়ফিল হক, পালক কাজল মল্লিক।
অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, মেমোরি খ্রীষ্ট্রান হাসপাতালের সহ-প্রশাসক যোষেফ অমূল্য রায়, প্রশাসক সুজেন এজ ও হাসপাতালের ডাইরেক্ট স্টিফেন কেলী।
ইতিহাস স্বাক্ষী-২২১ খ্রিস্টাব্দে মিসরের একটি দিনপঞ্জিতে লেখা হয়েছিল, মাতা মেরি ২৫ মার্চ গর্ভধারণ করেন। এ বিষয়টি রোমান ক্যালেন্ডারেও ছিল। এ ক্যালেন্ডারে সূর্যদেবতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উৎসবের কথাও রয়েছে। সে হিসাবে গর্ভধারণের নয় মাস পর ২৫ ডিসেম্বর যিশু জন্মগ্রহণ করেন বলে খ্রিস্টান ধর্মগুরুরা মত দেন।
৩৫৪ খ্রিস্টাব্দে রোমান পঞ্জিকায় ২৫ ডিসেম্বর যিশুর জন্মদিন উল্লেখ করে দিনটিকে যিশুর জন্মদিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে ৪৪০ সালে পোপ একে স্বীকৃতি দেন।
বড়দিন পেয়েছে সার্বজনীন উৎসবের আবহ। একই সঙ্গে বড়দিন পালনে যুক্ত হয়েছে নানান অনুষঙ্গ। প্রায় দুই হাজার বছর আগে পৃথিবীতে এসে যিশু খ্রিস্ট মানুষকে দেখিয়েছিলেন মুক্তি ও কল্যাণের পথ। বড়দিনে যিশু খ্রিস্টকে গভীরভাবে স্মরণ করে সারা বিশ্বের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা। তারা এ দিনটিকে আনন্দ ও মুক্তির দিন হিসেবে পালন করেন।
আ. দৈ./ কাশেম/ বিজন