সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা বহুলীতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে মেসার্স পাঁচ তারা মার্চরাইজ এন্ড প্রসেস মিল। অবিলম্বে এসব প্রসেস মিল জনবসতিহীন এলাকায় স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, বহুলী ইউনিয়নের কালিদাসগাতী রতুনী গ্রামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের ক্যামিক্যাল যুক্ত প্রসেস পানি আশেপাশের কয়েক বিঘা কৃষি জমিতে পানি যাচ্ছে। পানি কালো ও বিষাক্ত হওয়ায় কৃষকরা তাঁদের জমিতে চাষাবাদ করতেও পারছে না। ঝুঁকিপূর্নভাবে মেয়াদবিহীন বয়লারে চলছে কার্যক্রম। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ অন্যান্য সনদ।
নাম না বলা শর্তে অনেকেই বলেন, মিল মালিকদের অনেক ক্ষমতা। চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সবাই এদের ক্ষমতার কাছে কিছুই না। গৃহপালিত পশু, আবাদি জমি, পুকুর চাষ, জনজীবনে ক্ষতিসহ ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থায়ীভাবে বন্ধে গণস্বাক্ষর করেও কাজ হচ্ছে না। এতে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার অন্তত ১৪০ থেকে ১৫০টি পরিবার।
স্থানীয়রা আরও জানান, প্রসেস মিলের ব্যবহৃত কেমিক্যাল মিশ্রিত বিষাক্ত তরল বর্জ্য ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন না করে পাইপের সাহায্যে ফেলা হচ্ছে কৃষি জমিতে। ফলে ধান উৎপাদনে ব্যহত, কালো ধোয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে নানান বয়সী মানুষদের। বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানিতে প্রবাহিত হয়ে এলাকাজুড়ে বানিজ্যিক মাছের খামার, কৃষি জমি, খাল, বিল, পুকুরে পানিতে মিশে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রাম্যশালিসী করেও মিল মালিকের ক্ষমতার দাপটে আজও থামাতে পারেনি। এছাড়া সুতা রঙের কাজে এসিড, কস্টিক সোডা, ব্লিচিং পাউডারসহ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে জীববৈচিত্র্যর আরও চরমভাবে ক্ষতিতে পরিনত করছে।
মিল ম্যানেজার বাবলু মিয়া নিজেকে প্রথমে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক দাবী করলেও পরে ম্যানেজার দাবি করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের সকল ঠিক আছে। কাগজপত্র আমার কাছে নেই। সিরাজগঞ্জ জেলা কার্যালয় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল গফুর বলেন, আমি জানতাম৷ না। সরজমিনে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীরা এ বিষয়ে আমাকে কোন অভিযোগ করেনি। পরিবেশ দুষন মুক্ত রাখতে হলে অবশ্যই ইটিপি স্থাপন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আ. দৈ. /কাশেম/ নজরুল