গত সোমবার ( ১৮ নভেম্বর) ঢাকার উত্তরায় 'সামাজিক হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট' নামক ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল প্রকল্পের ০৪ টি বেজমেন্ট সহ আট (০৮) তালা ভবন নির্মাণের অনুমোদন প্রদান করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে আলোর মুখ দেখছে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের এই অত্যাধুনিক হাসপাতাল প্রকল্প। এই অনুমোদনের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের পথে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হলো, যা দীর্ঘসময় ধরে নানাবিধ কারণে স্থগিতাবস্থায় ছিল।
গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট কর্তৃক নির্মিতব্য 'সামাজিক হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট' দেশের স্বাস্থ্যসেবা নেটওয়ার্কের একটি কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে, যা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে বিশেষায়িত সেবাসহ বিস্তৃত পরিসরের সেবা প্রদান করবে। দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এটি একটি টেকসই মডেল যা সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের জন্য আধুনিক স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে।
৫০০ শয্যার হাসপাতাল সুবিধার পাশাপাশি, এই প্রকল্পে একটি মেডিকেল কলেজ এবং হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট থাকবে। যার প্রধান উদ্দেশ্য হবে বাংলাদেশের পরবর্তী প্রজন্মের স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত পেশাজীবীদের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা।
এ প্রসঙ্গে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ আশরাফুল হাসান বলেন, " রাজউক এবং এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কে বিশেষ ধন্যবাদ দীর্ঘ সময়ের ভোগান্তির নিরসন ঘটিয়ে হাসপাতালটির অনুমোদন প্রদান করার জন্য। উত্তরাবাসী সহ সমগ্র দেশের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দূরদর্শিতায় প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি।"
রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অবঃ) বলেন, "নির্মিতব্য এই হাসপাতালটি ঢাকা তথা সমগ্র দেশের স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এক মাইলফলক হয়ে থাকবে। দীর্ঘসময় নানাবিধ কারণে আটকে থাকা এই হাসপাতালের নির্মাণ কাজের অনুমোদন দিতে পারা রাজউকের সাম্প্রতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি। আশা করি, হাসপাতালটি সকল স্তরের মানুষের মাঝে বৈষম্যহীনভাবে সেবা প্রদানে নজির স্থাপন করবে।"
উত্তরার দিয়াবাড়ি মৌজায় নির্মিতব্য হাসপাতালটি দেশসেরা চিকিৎসক, আধুনিক হাসপাতাল সেবা এবং প্রযুক্তির একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে বাংলাদেশের জনগণের জন্য উচ্চমানের, সাশ্রয়ী সেবার একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান প্রদান করবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাব্যক্ত করেন। তারা আশা করেন, উদ্ভাবনী এবং অনুকরণীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে জনগণের মাঝে দেশের স্বাস্থ্যসেবার প্রতি আস্থা বৃদ্ধি করবে 'সামাজিক হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট'।
আ. দৈ. / কাশেম