বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে এক দিনে ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় সভায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা। ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) দেশের পররাষ্ট্রনীতি ও পরিবর্তনশীল বিশ্ব নিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আইনি বা প্রশাসনিক বাধা নেই। তিনি দেশে ফিরতে চাইলে তাঁকে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে, এমনকি একদিনের ব্যবধানে ট্রাভেল পাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব।’
এ সময় সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গও আলোচনায় উঠে আসে। উপদেষ্টা জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি যদি বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে চান, তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান ফেসবুকে লেখেন, দেশে ফেরার ব্যাপারটি তাঁর হাতে নেই। মায়ের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে পাশে থাকার ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে তারেক রহমান বলেন, ‘এমন সংকটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষা যেকোনো সন্তানের মতো আমারও রয়েছে।’
দেশে ফেরা নিয়ে রাজনৈতিক বাস্তবতার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু অন্য আর সকলের মতো এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। স্পর্শকাতর এই বিষয়টি বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত।’
এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে লেখেন, ‘জনাব তারেক রহমানের আজকের বক্তব্য যে এখনই দেশে ফেরার বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ তাঁর জন্য অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়, এটা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জনাব শফিকুল আলমের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তাঁর বাংলাদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে কোন ধরনের বিধি নিষেধ রয়েছে কিনা।’
পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘প্রেস সচিব জানান যে, এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে কোন বিধিনিষেধ অথবা কোন ধরনের আপত্তি নাই। তিনি আর উল্লেখ করেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’