দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, দুর্নীতি নিয়ে বিপক্ষে গণভোট হলে দেখা যাবে দুর্নীতির বিপক্ষে শতভাগ ভোট পড়েছে। কেউ দুর্নীতি চাই না, এই মর্মে ভোট দেবেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণভোটে দেখা যাবে শতভাগ সমর্থন করেছেন। অথাৎ দুর্নীতি 'চাই না'র পক্ষেই লোকজন। তাহলে দুর্নীতি হয় কি ভাবে? তিনি বলেন, দুর্নীতি 'চাই না' এবং দুর্নীতির চাই এর মাঝখানে একটা ফাক আছে। ওই ফাকটা পূরণ করতেই জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে।
আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুদকের উদ্যোগে হবিগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ১৯২ তম গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
“আসুন দুর্নীতির বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হই’’ এই স্লোগান নিয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর সংস্থাসমূহে সেবার মান বৃদ্ধি, সেবাগ্রহিতাদের হয়রানী রোধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যেই উক্ত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেন, ”সেবাগ্রহিতাগণ তাদের প্রাপ্য সেবা পেতে তারা আইনগত অধিকার সংরক্ষণ করেন। সেবাদাতাগুলো সেবা দেয়ার জন্য আইনগতভাবে বাধ্য কিন্তু ব্যত্যয় ঘটে; আর ব্যত্যয় ঘটে বলেই সেবাগ্রহতাগণ নিপীড়নের শিকার হন"।
দুদক সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম, দুদক মহাপরিচালক(প্রতিরোধ) মো: আক্তার হোসেন ও পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাজেদুর রহমান বক্তৃতা প্রদান করেন।
উক্ত গণশুনানিতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন সভাপতিত্ব করেন।গণশুনানিতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানীর শিকার বা সেবা বঞ্চিত সংক্ষুব্ধ জনসাধারণ তাদের অভিযোগসমূহ হবিগঞ্জ জেলার সকল সরকারি দপ্তর প্রধানদের উপস্থিতিতে কমিশনের সামনে তুলে ধরেন।
একই সাথে সেবা বঞ্চিত জনসাধরণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্তৃক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই সাথে সেবা বঞ্চিত জনসাধরণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্তৃক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উক্ত গণশুনানিতে দুদকের তফসিল ভুক্ত ৮১ টি অভিযোগের শুনানি হয়। যার মধ্যে ৩ টি অভিযোগ অনুসন্ধানে নেয়া হয়, ৬০টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয় এবং বাকি অভিযোগসমূহ প্রতিবেদন দাখিল সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করা হবে।
সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যাবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই গণশুনানির মূল অভিপ্রায়।
এর আগে গণশুনানিতে জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের জন্য হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সপ্তাহব্যাপী মাইকিং, পোস্টার, লিফলেট বিতরণ, বুথ স্থাপন করে অভিযোগ সংগ্রহ, অভিযোগ বাক্স স্থাপনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুদকের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করা হয়েছিল। উক্ত গণশুনানির বিষয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। গণশুনানি সরাসরি সেবা দাতা কর্মকর্তা-কর্মচারী, সকল শ্রেণি-পেশার নাগরিক এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, স্কাউট- বিএনসিসি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আ. দৈ./কাশেম