ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজধানীসহ সারাদেশে গোপনে ব্যাপক হত্যা কান্ড, অসংখ্য গুম এবং গত বছর জুলাই-আগস্টে হত্যা সুনিদিষ্ট অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলায় সাবেক ও বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে আটক ১৫ জন সেনা কর্মকতাকে এখনো চাকরিতে কর্মরত উল্লেখ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজি মোনাওয়ার হুসাইন।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর গাজি মোনাওয়ার হুসাইন এই তথ্য জানান। একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আপনি সেনা কর্মকর্তাদের সার্ভিং বলছেন। কিন্তু সংশোধিত আইন অনুযায়ী, ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হলেই তাদের চাকরি থাকার কথা নয়। তাহলে সেনা কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত নাকি চাকরিরত, কোনটা বলা হবে?’
এর জবাবে প্রসিকিউটর গাজি মোনাওয়ার হুসাইন বলেন, যেটা আইনে বলা আছে, সেটাই আইনের ব্যাখ্যা। এখন সেনা সদর দপ্তর সিদ্ধান্ত নেবে, এই আইন কবে তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে। যতক্ষণ প্রয়োগ না করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তো এই ১৫ সেনা কর্মকর্তা সার্ভিং (কর্মরত) বলাই যেতে পারে।
মামলা তিনটির মধ্যে দুটি হচ্ছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়। এসব মামলায় ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা এখনো কর্মরত। ১ জন এলপিআরে (অবসরোত্তর ছুটিতে) আছেন, আর ৯ জন সেনা কর্মকর্তা অবসরে।
সেনা কর্মকর্তাদের শুনানির তারিখ পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে প্রসিকিউটর মোনাওয়ার হুসাইন বলেন, এই দুটি মামলার পরবর্তী তারিখ ছিল ২০ নভেম্বর। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আজ এই মামলার তারিখ পরিবর্তনের জন্য একটি আবেদন করা হয়েছে। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়ে আগামী ২৩ নভেম্বর এই দুটি মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রসিকিউশনের নিজস্ব জটিলতার (ডিফিকাল্টি) কারণে এই সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।
আ. দৈ./কাশেম