স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা একসময় নিজেই জানিয়েছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। বছর দেড়েক আগে সেই ঘোষণায় বিনোদন অঙ্গনে তৈরি হয় জল্পনা-কল্পনা, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা দেয় বিভ্রান্তি। তবে সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে ছবি প্রকাশ করে মাহি জানালেন—তাদের ডিভোর্স আসলে হয়নি।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ও পেজে রাকিব সরকার ও ছেলে ফারিশের সঙ্গে একটি পারিবারিক মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেন মাহি। ছবির ক্যাপশনে ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে লেখেন, “মাশাআল্লাহ”। এরপরই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় নতুন আলোচনা।
একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাহি বলেন, “আমি রাগের মাথায় ডিভোর্সের কথা বলেছিলাম। আসলে আমাদের ডিভোর্স হয়নি। নিয়মিত আমাদের যোগাযোগ হয়।”
ছবিটি প্রকাশের বিষয়ে মাহি জানান, এটি আগেই ভারতের কোনো জায়গায় তোলা হয়েছিল, তবে তখন তা প্রকাশ করেননি। এখন যেহেতু উইকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় তার ডিভোর্স নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য রয়েছে, তাই সেসব ভুল বোঝাবুঝি দূর করতেই ছবিটি শেয়ার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পাসপোর্টেও লেখা আছে ‘ম্যারিড’, স্বামীর নাম রাকিব সরকার। আমরা ভালো আছি।”
তবে এর আগে একাধিক গণমাধ্যমে মাহি স্পষ্ট করে বলেছিলেন, রাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্ক টিকে না থাকায় আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তখন তিনি বলেছিলেন, “আমরা দুজনই চেষ্টা করেছি। যখন দেখেছি চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না, তখন চেষ্টা ছেড়ে দিয়েছি। বন্ধুত্ব থাকলে সম্পর্ক না থাকলেও চলে। রাকিব ফারিশের বাবা, এবং ছেলের বিষয়ে সে খুব যত্নবান।”
এমন অবস্থায় মাহির পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে তার ভক্ত ও ঘনিষ্ঠ মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বিষয়টিকে ব্যক্তিগত জীবনের পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন এ ধরনের অস্পষ্টতা তার ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
উল্লেখ্য, মাহিয়া মাহি ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন। সেই সম্পর্ক পাঁচ বছর পর ভেঙে যায়। এরপর ২০২১ সালে বিয়ে করেন গাজীপুরের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাকিব সরকারকে। রাকিবের সঙ্গে দেড় বছর আগে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেও, এখন বলছেন—সেটি শুধু রাগের মাথায় বলা হয়েছিল।