পটুয়াখালী বাউফলে চতুর্থ শ্রেনির শিক্ষার্থী ১১ বছরের এক শিশুকে ৪০ বছরের লম্পট আনোয়ারের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের সুনিদিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় এলাকার অসহায় শিশুর বৃদ্ধ বাবা ও মা দ্রুত প্রতিকারের আশায় বাউফল মামলা দায়ের করতে যান। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদরা লম্পট আনোয়ারের বিরুদ্ধে নানা অযুহাতে মামলা নিতে গড়িমশির করেন এবং ভিকটিমদের ৬ ঘন্টা থানায় বসিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
অবশেষে ওই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেনের হস্তক্ষেপে ৬ ঘন্টা পরে লম্পট আনোয়ারের বিরুদ্ধে মামলাটি রেকর্ড করার খবর পাওয়া যায়। একই সাথে অপরাধীকে গ্রেফতারের অভিযানে নামার নির্দেশ দিয়েছেন থানার অফিসার ইনচার্জ। আজ শুক্রবার (১১অক্টোবর) বাউফল থানায় এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে গণমাধ্যমকে জানান ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে ধর্ষিত শিশুর মা অভিযোগ করেন, বাউফলের মদনপুর ইউনিয়নের মধ্য মদনপুরা মৃধার বাজার এলাকার আনোয়ার (৪০) নামের এক ব্যক্তি তার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল। ৩-৪ দিন আগে আনোয়ার তার মেয়েকে দোকানে নিয়ে ধর্ষন করে। এরপর মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।
চিকিৎসক ও স্বজনদের প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে তার মেয়ে জানায় আনোয়ার নামের এক ব্যক্তি তাকে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষন করেছেন। তাই ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ধর্ষিত মেয়েকে নিয়ে তার বাবা, মা ও এক ভগ্নিপতি থানায় আসেন এবং ঘটনাটি ওসি কামাল হোসেনকে অবহিত করেন। এরপর থেকে শুরু হয় নানা নাটকিয়তা। এ ঘটনায় যাতে কোন মামালা না হয় সে জন্য শুরু হয় দেনতদবির। ওসি মামলা নেই নেব বলে ভিকটিমদের ৬ ঘন্টা থানায় বসিয়ে রাখেন।
ধর্ষিত শিশুটির ভগ্নিপতি অভিযোগ করেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে ওসির সাথে কথা বলেন। ওসি তাকে বলেন,সেকেন্ট অফিসার বাইরে আছেন, থানায় এসে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। ততোক্ষন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে না পারলে বাইরের কোন কম্পিউটরের দোকান থেকে এজাহার লিখে আনতে বলেন। ওসির এ দায়িত্বহীন কথাবার্তায় সন্তোষ্ট হতে পারেননি তিনি। পরে নিরুপায় হয়ে সেকেন্ট অফিসারের জন্য তারা থানায় অপেক্ষা করছেন।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ভিকটিমসহ স্বজনরা থানায় এসেছে । আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা অভিযোগ দিতে বিলম্ব করায় আমি দ্রুত গতিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারিনি। বিকাল ৪টায় মামলা রুজু হওয়ায় আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আ. দৈ. /কাশেম/নাজিম