পটুয়াখালীর বাউফলে একাধিক জেলেকে কুপিয়ে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় গ্রেফতারের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের প্রাণ নাশের হুমকি দিলেন বিএনপি নেতা। বুধবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার বগী বাজারে ওই ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায় উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের বগি তুলতলা এলাকায় ৫ অক্টোবর রাতে জেলেদের উপর হামলার ঘটনায় কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম এমদাদ (৫৫) গ্রেফতার হন।
মঙ্গলবার (৮অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজের পৌর শহরের বাসভবন থেকে যৌথ বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে। গত ৫ অক্টোবর নির্ধারিত মাসিক ৩০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে বিএনপি নেতা মঞ্জুরুল আলম এমদাদের ছেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রিজভির নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন লোক ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে জাফর, মনির ও দেলোয়ারসহ কয়েকজন জেলেকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে।
ওই ঘটনায় এক নারীকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। হামলার পরে মনির হোসেন বাদি হয়ে ওই দিন রাতে বাউফল থানায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বিএনপি নেতা মঞ্জুরুল আলম এমদাদকে ২ নম্বর আসামী করা হয়। জামীনে মুক্তি পেয়ে ৩০ জেলের কাছে ফের টাকা দাবী করা হয়। স্থানীয় জেলে লালমিয়া আনিচ দর্জি সোহরাব হোসেন শাহজাদা ও জহির জানান টাকা না দিলে আমাদের ছোট নৌকাগুলো ট্রলারে বেধে নিয়ে যায়। কিছু বল্লে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকী দেয়।
জেলেরা আক্ষেপ করে বলেন আমারা কোথায় যাবো; আমরা কি পরিবার পরিজন নিয়ে একটু বাঁচতে পারবো না। থানা পুলিশের কাছে জানালে তারা বলেন ব্যস্ত আছি একটু ধৈর্য্য ধরেন। গ্রেফতারকৃত এমদাদ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেনের অনুসারি বলে জানা গেছে। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ দাবী করেন, মঞ্জুরুল আলম এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান জেল থেকে মুক্তি পেয়ে তারা বাদীকে ফের হত্যার হুমকী দিয়েছে সে তথ্য বাদি আমাকে জানিয়েছে। আমরা তাদেও আইনগত সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং মামলার বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আ. দৈ. /কাশেম / নাজিম