ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে ভাঙ্গা উপজেলাকে আলাদা সংসদীয় আসন হিসেবে গঠন করার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। কেন ভাঙ্গা উপজেলাকে ফরিদপুর-৫ নামে পৃথক আসনে রূপান্তর করা হবে না এ মর্মে ব্যাখ্যা চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর), বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।
এই রিট আবেদন করেন ফরিদপুর-৪ আসনের বিএনপি-ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি। এর মধ্যে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম রেজা, আইনজীবী এম. ফাহাদ খান, ব্যবসায়ী এম. এম. শহিদুল ইসলাম শাহীন, চরভদ্রাসন উপজেলার বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ ১৬ জন।
ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির বলেন, নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে যে চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করেছে, সেখানে ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলাকে একত্র করে ফরিদপুর-৪ আসন গঠন করা হয়েছে। অথচ, এর আগে এই এলাকাগুলো দুটি পৃথক আসন (ফরিদপুর-৪ ও ৫) হিসেবে ছিল।
রিটে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের এই গেজেট সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১-এর ৭ ধারা এবং সংবিধানের ১২৫(ক) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। কারণ এতে ভৌগোলিক ও প্রশাসনিক বাস্তবতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার হুমায়ুন আরও জানান, ২০০৮ সালে কমিশন প্রথমবারের মতো ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলাকে একত্রিত করে ফরিদপুর-৪ নামে একটি আসন করে। তবে সেই সময় থেকেই স্থানীয় মানুষ এবং রাজনীতিকদের একটি অংশ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তারা দাবি করে, বৃহৎ ভাঙ্গা উপজেলাকে আলাদা আসন হিসেবে রাখা হলে তা সাংবিধানিক ভারসাম্য রক্ষা ও নির্বাচনী স্বার্থে যথাযথ হবে।
রিটকারীদের অভিযোগ, এবার নির্বাচন কমিশন আরও একধাপ এগিয়ে ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করেছে, যা স্থানীয় মানুষের প্রত্যাশার পুরোপুরি বিপরীত। এই অংশটি নিয়েও আগে হাইকোর্ট পৃথক রুল জারি করেছে।