বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে আগামীতে কে শপথ পড়াবেন, এই বিষয়টি নির্ধারণ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ আইনগত মতামত জানতে ৭ জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে আইনগত পরামর্শ দানকারী) নিয়োগ দিয়েছেন। রাষ্টপ্রতিকে শপথ পড়াবেন কে, জাতীয় সংসদের স্পিকার নাকি, প্রধান বিচারপতি।
বর্তমানে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে জাতীয় স্পিকারের শপথ পড়ানো সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনীতে রাখার বৈধতার প্রশ্নে দায়ের করা রিটের ওপর জারিকৃত রুলের শুনানি চলছে। এইসব বিষয়ে আরো বিস্তারিত শুনানির জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আলোচিত বিষয়ে শুনানিকালে সুস্পষ্ট মতামত গ্রহণের জন্য অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সিনিয়র ৭ আইনজীবীর নাম ঘোষণা করেন।
৭ অ্যামিকাস কিউরি হলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ড. শাহদীন মালিক, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
আদালতে আজ বৃহস্পতিবার রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক। এসময় সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফাতেমাতুজ জোহরা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদি হাসান।
এর আগে রাষ্ট্রপতিকে দেশের প্রধান বিচারপতি শপথ পাঠ করানো-সংক্রান্ত বাহাত্তরের সংবিধানের বিধান পুনর্বহালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী গত ১০ মার্চ রিটটি করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে পরের দিন ১১ মার্চ হাইকোর্ট রুল জারির নির্দেশনা দেন।
রুলে ‘রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি শপথবাক্য পাঠ করাবেন’ বাদ দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর স্পিকারের পড়ানো- সংক্রান্ত বিধান কেন বাহাত্তরের মূল সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং সংশোধনীর অংশটুকু কেন বাতিল (শুরু থেকেই) হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। আইনসচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়। আজ রিটটি আদালতের শুনানির জন্য ওঠে।
এ বিষয়ে আইনজীবী ওমর ফারুক বলেন, ‘রুলের ওপর আংশিক শুনানি হয়েছে। রিট আবেদনকারীর পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন প্রায় শেষ পর্যায়ে। অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মতামত দিতে আজ আদালত শীর্ষস্থানীয় সাতজন আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছেন। রুল শুনানির জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।’
আ. দৈ./কাশেম