ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পল্লবী জোনের প্রভাবশালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুল হাসান ফিরোজের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় এ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার ৯২০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই পুলিশ কর্মকর্তার পরিবার এবং শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় স্বজদের অবৈধ সম্পদের বিষয়টিও আমলে নিয়েছে দুদক।
আজ বুধবার (৩০ জুলাই) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই সিদ্দান্তের ফলে যে কোন সময় অভিযুক্ত এএসপি নাজমুল হাসান ফিরোজের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ভোগদখলে রাখার অভিযোগ মামলাটি রেকর্ড করা হতে পারে।
দুদক ডিজি গণমাধ্যমকে আরো জানান, অভিযুক্ত এএসপি নাজমুল হাসান ফিরোজ ছাড়াও তার মা, ছোট ভাইসহ পাঁচজনের সম্পদের বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারি করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে ফিরোজের সম্পদ ভোগদখল ও অস্বাভাবিক ব্যাংক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, এএসপি নাজমুল হাসান ফিরোজের ছোটভাই এনামুল হোসেনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৮ কোটি ৪২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ও তার ব্যাংক লেনদেনের পরিমাণ ৮৩ কোটি ৩৩ লাখ ২৩ হাজার ৩১৬ টাকা, মা নাজমা বেগমের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৭ কোটি ৯৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং ব্যাংক লেনদেন ৬৫ কোটি ৮০ হাজার ১০৭ টাকার।
এএসপি নাজমুল হাসান ফিরোজের শ্বশুর এ কে এম ছায়াদাত হোসেন বকুলের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৬ কোটি ২২ লাখ টাকা আর ব্যাংক লেনদেন ৬৬ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ৯০৮ টাকার। শ্বশুরের ব্যবসায়িক পার্টনার মোস্তফা খানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪ কোটি টাকা ও ব্যাংক লেনদেন ১২০ কোটি ৬৩ লাখ ৭৩ হাজার ৮১৮ টাকার।
অভিযুক্ত এই পুলিশ কর্মকর্তার মামাতো ভাইয়ের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ লাখ ৮০ হাজার টাকা আর ব্যাংক লেনদেন ২৬ কোটি ৩১ লাখ ৯৯ হাজার ৮১৫ টাকার। গত ১০ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ পল্লবী জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান ফিরোজ ও তার স্ত্রী সাদিয়া আইনুন নিশাতের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
আ. দৈ./কাশেম