কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আল কুরআন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ'র মৃত্যুতে গঠিত তদন্ত কমিটির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন সাজিদের পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিশ্বিবদ্যালয়ের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি, হল প্রশাসন তদন্ত কমিটি ও পুলিশি কেসের যাবতীয় বিষয় তথ্য উদঘাটনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে আসলেন সাজিদের বাবা, চাচা, ভগ্নিপতি ও প্রতিবেশী।
তারা জানান, পোস্টমর্টেমের পর সাজিদের মৃতদেহ নিতে এসেছিলাম। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত এবং তদন্তের অগ্রগতি জানতে আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি। মুলত হল প্রশাসনের তদন্ত কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্ত কমিটি ও উপ উপাচার্যের সাথে দেখা করেছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যেন রিপোর্ট প্রকাশ করে এটা আমাদের দাবি। তার (সাজিদ) যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তাহলে কোনো চাওয়া নাই কিন্তু যদি হত্যা হয় তাহলে আমরা তার বিচার দাবি করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী আমার সন্তানের মতো। আমরা চাই সাজিদ হত্যাকে ইস্যু করে কেউ যেন রাজনৈতিক সুবিধা, অস্থিতিশীলতা ও বিশৃঙ্খলতা তৈরি করতে না পারে, এটাই আমাদের চাওয়া।
পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে কি-না জানতে চাইলে তারা বলেন,"আমরা প্রাথমিকভাবে একটি জিডি করেছি তবে আপাতত আমাদের মামলা করার ইচ্ছে নেই। যদি তদন্ত রিপোর্টে হত্যাকাণ্ড বলা হয় তাহলে পরবর্তীতে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নিবো।"
এর আগে কুষ্টিয়ায় প্রথম জানাজায় উপস্থিত এক বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম নিহত শিক্ষার্থী সাজিদের পিছনে শিবিরের হাত আছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি নিজেকে রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। আমি তখনই প্রতিবাদ করে বলেছি- একটা সুষ্ঠু তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ট্যাগ করে কিছু বলা যাবে না। তার পরিচয় তিনি গোপালপুর উপজেলা সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে বা রাজনৈতিক দলের হয়ে এভাবে বক্তব্য দিতে পারেন না।
আ. দৈ./কাশেম