পূর্বের রেকর্ড ভেঙে ২০২৫ সালের প্রথম অর্ধবার্ষিকীতে প্রায় ৩৭০৬ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা লাভের নতুন রেকর্ড করেছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সর্ববৃহৎ ব্যাংক সোনালী ব্যাংক পিএলসি। যা গত বছরের প্রথম অর্ধবার্ষিকীর চেয়ে ১ হাজার ৪৫৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা বেশি। ২০২৪ সালের জুন মাস শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২ হাজার ২৫২ কোটি টাকা।
টানা রেকর্ড পরিচালন মুনাফা লাভের পাশাপাশি প্রথম অর্ধবার্ষিকীতে ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণও আরও বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ব্যাংকটির আমানত ২০২৪ সালের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৩ হাজার ৬৩১ কোটি টাকারও বেশি। ২০২৪ সালের জুন সমাপনী শেষে ব্যাংকের আমানতের স্থিতি ছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। যা চলতি বছরে অর্ধবার্ষিকী শেষে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকায়।
তবে ২০২৪ সালের তুলনায় চলতি বছরের জুন সমাপনী শেষে সরকারি খাতের কিছু ঋণ আদায় হওয়ায় ব্যাংকটির ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকায়। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৯৮ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। বর্তমানে ঋণ ও আমানতের অনুপাত হলো ৫৭.১ শতাংশ।
এছাড়া বছরের প্রথম ৬ মাসে ব্যাংকের লস শাখার সংখ্যা ১৫টি হতে কমে ১৪টি হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকটির মোট শাখার সংখ্যা ১২০৪টি।
সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফার এই প্রবৃদ্ধি ও সার্বিক অগ্রগতি ব্যাংকের সকল কর্মীদের একাগ্রতা, নিরলস প্রচেষ্টা ও শ্রমের প্রতিফলন বলে মনে করেন ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও মো. শওকত আলী খান। এই রেকর্ড মুনাফা অর্জনে তিনি ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, গুণগত ঋণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিএমএসএমই খাতকে অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ হতে আদায় কার্যক্রমকে বেগবান করা হয়েছে। এছাড়া রেমিট্যান্স আহরণ, আমদানি-রপ্তানি ও নন-ফান্ডেড আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
শওকত আলী খান আরও বলেন, গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধি, সেবার ক্রম আধুনিকায়ন, ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সুশাসন প্রতিষ্ঠা, সেবার পরিধি বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি ব্যাংকের সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। সামনের দিনগুলোতেও সেবার মান আরও বৃদ্ধি ও সেবা আরও সহজীকরণের মাধ্যমে মুনাফাসহ সকল সূচকে ব্যাংকের এ সাফল্য অব্যাহত থাকবে বলে তিনি মনে করেন।