দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুত মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তার পাওনা সব বেতন ও সুযোগ-সুবিধা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে একটি রিট আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ বুধবার বিচারপতি রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।
আদালতের রায় পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় মো. শরীফ উদ্দিন বলেছেন, ‘আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি।’২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মো. শরীফ উদ্দিনকে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সই করা এক প্রজ্ঞাপনে অপসারণ করা হয়।
তাতে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা (যদি থাকে) পাবেন। কমিশনের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কর্মরত থাকাকালে বেশকিছু বড় দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মো. শরীফ উদ্দিন। এরপরই একাধিক মহলের রোষানলে পড়েন তিনি।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি পরিবারসহ হত্যার হুমকি পান শরীফ। পরিবারসহ হত্যার হুমকি পাওয়ায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরী ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে সিসিটিভির ফুটেজসহ চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন শরীফ।