শেষ বাঁশি বাজতেই উল্লাসে ফেটে পড়লেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলার ও কোচিং স্টাফরা। কারণও যথেষ্ট—স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে এক ঐতিহাসিক সাফল্যের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে এখন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এই জয়ের ফলে ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
পুরুষ ফুটবল দল ১৯৮০ সালে প্রথমবার এশিয়ান কাপে খেলেছিল। কিন্তু নারীদের জন্য এটি হতে পারে একেবারেই প্রথমবারের মতো এশিয়ার সর্বোচ্চ মঞ্চে জায়গা করে নেওয়ার ইতিহাস।
বুধবার মিয়ানমারের ইয়াংগুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামে ১৯তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ৭২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ঋতুপর্ণা। শেষ দিকে ব্যবধান কমান মিয়ানমারের উইন উইন।
বাহরাইনের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৭-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আগামী শনিবার তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
নারী এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে মোট আটটি গ্রুপ রয়েছে, যার প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়নই মূলপর্বে জায়গা পাবে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচে জিতে সি গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে। গ্রুপের শেষ ম্যাচ তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে, যারা তুলনামূলকভাবে দুর্বল প্রতিপক্ষ। ফলে সে ম্যাচে জয় বাংলাদেশের জন্য সহজলভ্য বলে ধরা হচ্ছে।
তবে এমনকি যদি বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে হারেও, সম্ভাবনা খুবই বেশি যে তারা গ্রুপ সেরা হয়েই মূলপর্বে উঠবে। কারণ মিয়ানমার যদি বাহরাইনকে হারায়, তাহলেও বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার উভয়েরই পয়েন্ট হবে ৬। সে ক্ষেত্রে হেড টু হেডে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
আজকের বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান ম্যাচ যদি ড্র হয়, তাহলে আজই বাংলাদেশের নারী এশিয়ান কাপ নিশ্চিত হয়ে যাবে। এমনকি বাহরাইন জিতলেও বাংলাদেশের মূলপর্ব নিশ্চিত হবে, কারণ তারা মিয়ানমারকে হারাতে পারলেও হেড টু হেড বিবেচনায় এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে বাছাইপর্বে এত সফলতার পর দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে দারুণ উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। এখন অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। বাংলাদেশের নারী ফুটবলের জন্য এটি হতে পারে এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।