ফ্যাসিস্ট ষেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার 'গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা' শীর্ষক বিএনপির আলোচনা সভা বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয় বর্ষপূর্তি কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
আজ মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিকেল ৩টায় এই সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপি গঠিত জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয় বর্ষপূর্তি কমিটির উদ্যোগে 'গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা' শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদ পরিবারের সম্মানে বিশেষ এই অনুষ্ঠানের আয়োজনা করা হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবার আর আহত নেতাকর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ৬৩ রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বুদ্ধিজীবী, সিনিয়র সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও এ অনুষ্ঠানে থাকছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্টের ওই আন্দোলনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৭৩৪ জন শহীদ হন। এর মধ্যে শুধু বিএনপিরই ৪২৩ জন ও ছাত্রদলের ১৪৪ জন। অনেক যাচাই-বাছাই করে এ তালিকা করা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শহীদ পরিবারের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছেন দলটির নেতারা।
বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থক শহীদ হয়েছেন ৪২৩ জন। ছাত্রদলের শহীদ ১৪৪ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামও এ সংগঠনের নেতা ছিলেন। এছাড়া শ্রমিক দলের শহীদ ৭২ জন, যুবদলের ৭১ জন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শহীদ হন ২৪ জন।
সূত্রমতে, ৫ আগস্টের আগে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন, তাদের পাশে থাকতে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ নামে একটি সেল গঠন করা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সেলের প্রধান উপদেষ্টা রুহুল কবির রিজভী।
এ সেলের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সব সময় খোঁজ রাখছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। একই সঙ্গে ৫ আগস্টের পর থেকে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে বহু পরিবারকে সহযোগিতা করা হয়েছে।’ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির যুগান্তরকে বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪৪ জন শহীদ হয়েছেন।
আ. দৈ./কাশেম