ইরানের পারমানবিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার জেরে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। আগামীকাল সোমবার (১৬ জুন) সকালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবস্থিত সংস্থাটির সদর দপ্তরে ওই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ’র খবরে বলা হয়েছে যে, ইরানের পারমানবিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার পর দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় জরুরি বৈঠক ডাকার জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানায় রাশিয়া এবং ভেনেজুয়েলা। সেই প্রেক্ষিতেই সোমবার জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে সংস্থাটি।
ইতোমধ্যে ইসরাইল–ইরান উত্তেজনা নজিরবিহীন মাত্রায় পৌঁছেছে। ইরানের রাজধানী তেহরানে বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। একই সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার আওয়াজ শোনা গেছে। আলজাজিরার খবরে বলা হয়, মাত্র কয়েক মিনিট আগে অন্তত দুটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে, যা ইঙ্গিত দেয়, ইসরাইলের হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং ইরান পাল্টা জবাব দিচ্ছে।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের রাতভর হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং আহত হয়েছেন ২০০ জনের বেশি। এখনো নিখোঁজ তিনজন। ইসরাইলের দাবি, ইরান প্রায় ৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের হাইফায় বাজান তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারাও ইরানের সমর্থনে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেছেন, তেহরান ‘আত্মরক্ষার্থে’ কাজ করছে। ইসরাইল হামলা বন্ধ করলেই ইরানও যত দ্রুত সম্ভব উত্তেজনা প্রশমন করবে।
ইসরাইলের হামলায় ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৩০ জন সামরিক কর্মী এবং একজন ইরানি রেড ক্রিসেন্টের সদস্য বলে জানিয়েছেন ওই প্রদেশের গভর্নর বাহরাম সারমাস্ত।
আরও জানা যায়ে, হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৫ জন আহত হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, তেহরানের একটি ভবনে ইসরাইলি হামলায় ২০ জন শিশুসহ ৬০ জন নিহত হয়েছেন।এদিকে ইসরায়েলের হামলা এখন পর্যন্ত মিলিয়ে ইরানের প্রায় শতাধিক নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ইরানি হামলায় ইসরায়েলের ১৩ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আ. দৈ./কাশেম