কক্সবাজার জেলার প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া কিশোরী ও নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট পরিচালিত ‘স্বপ্নের সারথি’ প্রকল্পের একটি বিশেষ সমন্বয় সভা আজ রোববার (১ জুন) জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের কক্সবাজারস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল—প্রকল্পের চলমান অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের অবহিত করা এবং প্রান্তিক নারীদের কর্মসংস্থানে অংশীদারদের সক্রিয় সহযোগিতা আহ্বান করা।
বাংলাদেশ অভিবাসী ফোরামের নারী বিষয়ক সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজসেবী মাটিনটিন বলেন, “কক্সবাজারে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরত পরিবারের সংখ্যা অনেক বেশি এবং এখানকার বাল্যবিবাহের হার দেশের মধ্যে অন্যতম। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পর্যটনখাতে স্থানীয় যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি, যেখানে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।”
কলাতলি হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “কক্সবাজারে ট্যুরিজম সেক্টরে দক্ষ জনবলের ঘাটতি এখনও বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এ অবস্থার উত্তরণে প্রশিক্ষণ ও ব্যবহারিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। পাশাপাশি নারীদের হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা সমাজে এখনও সহজভাবে গৃহীত নয়, যা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করছে।”
হোটেল নিসর্গের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ বিভাগের ম্যানেজার জনাব আশরাফুল ইসলাম বলেন, “ফুড অ্যান্ড বেভারেজ সার্ভিসে পেশাদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশিক্ষণ পর্যায় থেকেই এই মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে, যাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা দক্ষ জনবল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।”
উক্ত সভায় আরও অংশগ্রহণ করেন কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন হোটেল ও রিটেইল স্টোরের মালিক ও সুপারশপের ব্যবস্থাপক, হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক, টেকনিক্যাল কলেজ ও ট্রেনিং সেন্টারের প্রশিক্ষকগণসহ বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
র/আ