ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদ ইশরাক হোসেনকে বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত বিএনপির সমর্থিত লোকজন আন্দোলন চালিয়ে যাবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। টানা ষষ্ঠ দিনের মতো আজ মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল থেকে নগর ভবন এলাকায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। নগরভবনের সামনে আন্দোলনের মঞ্চ তৈরি করেছেন তারা।
আজ সকাল ৯টা থেকে ডিএসসিসি’র প্রধান কার্যালয় নগর ভবন ও গোলাপ শাহ মাজারের সামনে অবস্থান করছেন বিক্ষোভকারীরা। এতে গোলাপ শাহ মাজার ও নগর ভবনের সামনের রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে পুরো এলাকা ব্লকেড হয়ে গেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, আন্দোলনকারীরা নগর ভবনের প্রধান ফটকে মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান করছেন এবং বিভিন্ন দপ্তরের গেটে তালা লাগিয়ে দেন। ফলে নগর ভবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সকাল থেকেই দক্ষিণ সিটির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে এসে গুলিস্তান মাজার ও নগর ভবনের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। ব্লকেডের ফলে গোলাপ শাহ মাজার ও নগর ভবনের সামনের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। ইশরাকের সমর্থকেরা শ্লোগান দিতে থাকেন’, ‘শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই’, ‘ইশরাক ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘ইশরাক ভাই আসছে, রাজপথ কাঁপছে’ ইত্যাদি ।
বিক্ষোভকারীরাবলেন, ‘ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত নগর ভবনের সামনে আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’ এ সময় স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগ চেয়েও স্লোগান দেন অনেকে। হারুনুর রশিদ নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আদালতের রায় দেয়ার পরও ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ করানো হচ্ছে না। আজকের দিনের ভেতরে যদি মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথ করানো না হয়, তাহলে আমরা পুরো ঢাকা শহর অচল করে দেবো।’
আরেক সমর্থক তারেক হোসেন বলেন, ‘আসিফ মাহমুদ গং ৫ আগস্টের পূর্বে কোথায় ছিল। বিএনপির অনেক নেত াকর্মীকে হত্যা হয়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারকে বলতে চাই-আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, জনগণের গণদাবি মেনে নেন।’
উল্লেখ্য, ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭শে মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭শে এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এখনো পর্যন্ত তার শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়নি। শপথ দিতে বিলম্ব করায় ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা ‘নগরবাসী’ ব্যানারে আন্দোলন শুরু করেন।
আ. দৈ./কাশেম