জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র- শিক্ষকদের আন্দোলনকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর বোতল নিক্ষেপের ঘটনায়ী ইশতিয়াক হোসাইন নামে এক শিক্ষার্থীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আজ শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান শিক্ষার্থী ইশতিয়াক হোসাইনাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, তথ্য উপদেষ্টার দিকে পানির বোতল ছুড়ে মারার ঘটনায় শিক্ষার্থী ইশতিয়াক হোসাইন নামে একজনকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে তাকে তার অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কয়েকটি দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বুধবার (১৪ মে) রাত ১০টার পর কাকরাইল মসজিদের সামনে যান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে তিনি কথা বলার এক পর্যায়ে একটি প্লাস্টিকের বোতল উড়ে এসে তার মাথায় পড়ে। এরপর আর কথা না বলে সেখান থেকে চলে যান মাহফুজ আলম। এর আগে তথ্য উপদেষ্টাকে লক্ষ্য করে পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে (বৃহস্পতিবার) রাতে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম গনমাধ্যমকে বলেছিলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে ইশতিয়াক হোসাইন নামের একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর তিনি পালিয়ে গেছেন। তাকে ধরতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অভিযান চালাচ্ছে। জানা গেছে, ইশতিয়াক আগে পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজে পড়তেন। ঘটনার পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যুক্ত ইশতিয়াকের সহপাঠী–বন্ধুরা।
গত বুধবার (১৪ মে) রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলতে যান উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে কথা বলার একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল ছুড়ে মারা হয়। বোতল ছুড়ে মারার ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ভিড়ের মধ্য থেকে এক যুবক বোতল ছুড়ে মারেন। ওই যুবকের মাথায় ছিল ক্যাপ। পাশেই ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। ওই যুবককে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু একটা জিজ্ঞাসা করতেও দেখা যায় ভিডিওতে। প্রায় ১৫ মিনিট পরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ আলম। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে নিজের সন্দেহের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা খুঁজে বের করুন। দেখবেন, একটি গ্রুপকেই পাওয়া যাবে। তাদের নির্দিষ্ট একজন ব্যক্তির প্রতি যে হিংসা আট মাস ধরে রয়েছে এবং তাদের যে হিংস্রতা অনলাইনে দেখা যায়, তারা আজকে এখানে এটা করেছেন।’
আ. দৈ./ কাশেম