অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা রাজধানী ঢাকার নগরায়নে নানা সমস্যা দিন দিন রেড়েই চলছেই। ফলে এই নগরী বাসযোগ্যতা হারাতে বসেছে। আজো গড়ে উঠেনি নগরীর সুষ্ঠুু ড্রেনেজ ব্যবস্থাা, ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে পরিবেশ। গুলশান,বনানী ও হাতিরঝিল সহ নগরীর পুরনো সুন্দর সুন্দর লেকগুলো আজ বিষাক্ত বজ্যের ঝুকিতে রয়েছে। কারণ বাসা বাড়ি ও শিল্প কারখানার বিষাক্ত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি নামছে লেকগুলোতে। দীর্ঘদিন যাবৎ এইসব বিষয় ঢাকা সিটি করপোরেশন,রাজউক এবং ঢাকা ওয়াসার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্থায়ী সমাধানের কার্যকরী উদ্যোগ নিচ্ছেন না। শুধু মাত্র বর্ষার মৌসুমে লোকদেখানো কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। কিছু দিন হৈ চৈ করার পর আবার নিরব হয়ে যান তারা।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষ থেকে গুলশান,বনানী ও বারিধারা এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করছেন বলে জানা যায়। তারই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৩ মে) ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং গুলশান-বনানী সোসাইটির প্রতিনিধিরা বনানী লেকের পাড়ে কড়াইল বস্তি সংলগ্ন নির্মিত সুষ্ঠু পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম (ই) পিএসসি. বিএন,অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ উল মোস্তাক, অঞ্চল -৩ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, সহকারী প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম সহ ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, বনানী এলাকার পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সমন্বিতভাবে কাজ করবে ঢাকা ওয়াসা, রাজউক এবং ডিএনসিসি। তিনি আরও বলেন, বনানী ১১ নম্বর সড়কের ব্রিজ থেকে কড়াইল বস্তির দিকে যেতে লেকের পাড়ের যে রাস্তাটা রয়েছে এই রাস্তাটা রাজউকের সম্পত্তি। তারা এখানে একটা ড্রেনেজ নির্মাণ করতে ডিএনসিসিকে অনুরোধ করেছে। ডিএনসিসি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ড্রেনেজ নির্মাণ করা হবে।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী জানান, এরইমধ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় ডিএনসিসি তিনটি সুষ্ঠু পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট নির্মাণ করেছে। এই মাসের মধ্যে এগুলো পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করবে। কোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ছাড়া ন্যাচার বেজড এই প্রযুক্তি সঠিকভাবে কাজ করলে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় এরকম আরও প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে। তিনি শহরের বাড়িওয়ালাদের প্রতি অনুরোধ করেন, তারা যেন তাদের বাড়ির পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগ সরাসরি সিটি কর্পোরেশনের স্টোম ড্রেনেজে না দেয়। যেসব জায়াগয়ে ঢাকা ওয়াসার পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশন নেটওয়ার্ক নেই তারা যেন বাড়িতে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট স্থাপন করে।
আ. দৈ./কাশেম