বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করে প্রতিকী জানাজা নামাজের আয়োজন করে ফ্যাসিবাদ বিরোধি শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৩০ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৮ টায় ঢাকা-পটুখালি মহাসড়ক অবরোধ করে কফিন মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।কফিনে লেখা ছিলো”মৃত প্রশাসন”।
গত ২ সপ্তাহ ধরে ৪ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান।বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজ করছে উত্তাল পরিস্থিতি। এর আগে রেজিস্টার মনিরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে ২২ জন শিক্ষার্থীর নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
প্রতিকী জানাযায় অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেইখ সাংবাদিকদের বলেন,”আমরা ৪ দফা দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছি।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো আমলে নিচ্ছেন না।উপাচার্য শুচিতা শরমিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী পূর্নবাসন করছেন। তিনি আমাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করছেন না। তাই আমরা প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করছি।তাদের প্রতিকী জানাজার আয়োজন করেছি।” ববি প্রশাসনের প্রতিকী জানাযা শেষে শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়।শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪ দফার লিফলেট বিতরণ করেন তারা।
আরেক শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন”বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন এক প্রকার মৃত। আমরা ৪ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে আছি। কিন্তুু প্রশাসন আমাদের সাথে কোনো আলাপ না করে উল্টো মামলা দিয়েছেন। তাই আমরা এই প্রশাসনে পদত্যাগের দাবি তুলছি।”বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী নাজমুল ঢালি বলেন”৪ দফা দাবি মেনে না নেওয়ায় আমরা প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করছি।”
উল্লেখ্য এর আগে একাধিক বার উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদ পূর্নাবাসনের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও গত ৩০ এপ্রিল আন্দোলনকারীরা প্রক্টর অফিসেও তালা ঝুলিয়ে দেন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে মৃত ঘোষণা করে গায়েবানা জানাযা আদায় করেন ঢাকা-পটুয়াখালি মহাসড়ক অবরোধ করে। অধ্যাপক শুচিতা শরমিনের স্বাক্ষর না পেয়ে আটকে আছে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ।কবে নাগাদ শিক্ষার্থীদের ৪ দফার প্রতি কর্ণপাত করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা এখন দেখার বিষয়।
আ. দৈ/কাশেম