Publish: Wednesday, 23 April, 2025, 8:30 PM (ভিজিট : 39)
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, " Town Improvement Act', ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালার বড় পরিসরের পরিবর্তন দরকার। নতুন বাংলাদেশ নতুন আলোকে গড়ে তোলার জন্য রাজউকের মতো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব অনেক বেশি। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর এবং যাদের একান্তই আবাসনের প্রয়োজন তাদের জন্যও রাজউকের কার্যক্রম চালানো উচিৎ।
তিনি আধুনিক প্রযুক্তির বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, রাজউককে ডিজিটালাইজেশনের দিকে এগুতে হবে। এস্টেট শাখা ও পরিকল্পনা শাখাকে ডিজিটালাইজড করতে হবে। রাজউকের উপর চাপ কমাতে কিছু কাজ আউটসোর্সিং করা যেতে পারে।"
আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল ) রাজউক অডিটোরিয়ামে উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রিয়াজুল ইসলামের নেতৃত্বে রাজউক কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ অভিমত ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভায় রাজউকের লক্ষ্য, চলমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সার্বিক আলোচনা হয়।
মতবিনিময় সভা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, "ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজউক অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। আমরা কোন কল্পনা প্রসূত নগরী নয় বরং একটি বাস্তবসম্মত ঢাকা গড়ে তুলতে চাই।"
তিনি আরও বলেন, "অপরিকল্পিত নগরায়ন যেন না হয়। কৃষি জমি, বনাঞ্চল যেন নষ্ট না হয় সেটা আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। রাজউক এখন মাঠ পর্যায়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে তাদেরকে সহজেই সেবা দিচ্ছে। রাজউকের এই সদিচ্ছা একটি জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত করে তুলছে।"
অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, "রাজউক সম্পর্কে মানুষের যে ধারণা আছে, তা পরিবর্তনের জন্য এবং মানুষের কাছে রাজউক এর ভালো কাজ গুলো পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমি এবং রাজউকের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ বদ্ধপরিকর।"
তিনি বলেন, "অবৈধ দখলে থাকা রাজউকের জমি উদ্ধার করে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের পরিকল্পনা করছে রাজউক। বর্তমানে ড্যাপ ও অটোমেশনে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এতে জনগনের কষ্ট লাঘব হবে ও রাজউক এর সেবামূলক বিশাল কর্মযজ্ঞ সকলের কাছে পৌঁছে যাবে।"
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, "জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। রাজউক অনেক চমৎকার কাজ করছে। সততা ও নিষ্ঠার সাথে আমাদের ভালো কাজ করতে হবে। আমি রাজউক সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করবো রাজউক চেয়ারম্যান কে সহযোগিতা করার জন্য যেন তিনি ঢাকাকে একটি বাসযোগ্য নগরী করার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন।"
রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আলম মোস্তফা স্বাগত বক্তব্যে বলেন, "ত্রুটি বিচ্যুতি এড়িয়ে রাজউককে কীভাব একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা যায় তার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বৈষম্যবিরোধী এই সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণের যে স্বপ্নপূরণে এগিয়ে যাচ্ছে, তার অংশ হিসেবে রাজউক কাজ একনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।"
রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম সভায় রাজউকের সার্বিক কার্যক্রম, লক্ষ্য, অভীষ্ট এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একটি পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপন করেন ।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজউকর সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাঃ হারুন-অর-রশীদ, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) শেখ মতিয়ার রহমানসহ সকল স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। অংশগ্রহণমূলক আজকের এই মতবিনিময় সভা একটি জনবান্ধব রাজউক গড়ার প্রত্যাশা নিয়ে সমাপ্ত হয়।