চব্বিশের গণবিপ্লব ছিল ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা যে বিপ্লব ঘটিয়েছে তা অবিস্মরণীয়। ২০২৪ এর বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, শহিদদের যে আত্মত্যাগ তা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে গেলেও প্রেতাত্মারা এখনও দেশে অবস্থান করছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে প্রশাসনকে ঢেলে সাজাতে হবে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর)বিকালে এনায়েতপুর, বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলা বিএনপির উদ্যেগে এনায়েতপুর হাই স্কুল মাঠে ঐতিহাসিক স্বরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই অভিমত ব্যক্ত করেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম।
এ সময় উপস্থিত থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক ছাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ডাক্তার এম এ মুহিত, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ খান হাসান, ভিপি শামীম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা মোস্তফা জামান, আবু সাইদ সুইট।
এ ছাড়া এনায়েতপুর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রওশন আলী মন্টু সরকার, সদস্য সচিব মুঞ্জুরুল শিকদার মুঞ্জু, বেলকুচি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, সদস্য সচিব বনি আমিন, চৌহালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদ মোল্লা, সেক্রেটারি কারী ময়নাল হকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
তারেক রহমান বলেন, চব্বিশের গণবিপ্লব ছিল ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ। আমরা দেশকে আজ স্বৈরাচার মুক্ত করতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য অল্প একটু অর্জন করেছি। আমাদের আরও অনেক পথ বাকি আছে। এই পথ সঠিকভাবে পাড়ি দিতে হবে। এতে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, যখন দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি ব্যবস্থা থাকবে তখনই যারাই সরকার পরিচালনা করবে তারা জনগণের কথা চিন্তা করবে। এ কারণে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের এতো ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আন্দোলন।
তারেক রহমান আরও বলেন, দেশের রাজনীতি, আইন ও বিচার ব্যবস্থাসহ সামগ্রিকভাবে মানুষের কাছে আমরা ৩১ দফা দাবি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি। এর মধ্যে অনেকগুলো বিষয় আছে। বিএনপি বিশ্বাস করে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাইলে সকল সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার অর্জনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময়ী দেশ, শুধু রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করলে চলবে না। একইসঙ্গে এটার সুফল পেতে হলে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের পথ বাতলাতে হবে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে পারি, তাহলে সকল ক্ষেত্রে আমাদের মুক্তি হবে। দেশীয় সম্পদ কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান সৃস্টি করে বেকার সমস্যা দূর করা যাবে। এনায়েতপুর ও বেলকুচি অঞ্চলের তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ঘটিয়ে তাঁত শিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
আ. দৈ. /কাশেম