আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে এ কথা বলেন রাশেদ খাঁন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। অবশ্যই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা সেই পথে না হেঁটে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন। জনগণ তার বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
মো. রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলব, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে জাতীয় সংলাপ ডাকুন। আমরা দেখতে চায়, কারা নিষিদ্ধ চায় না। আমরা মনে করি, সকল দল জনগণের সিন্টেমেন্টের আলোকে সিদ্ধান্ত জানাবে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে কারও পক্ষে রাজনীতি করা সম্ভবপর নয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে এই ষড়যন্ত্র আরও ঘনীভূত হবে। বিশেষ করে এই সরকার ব্যর্থ হলে আরেকটি ১/১১ ফিরে আসবে। যার ভুক্তভোগী হবে রাজনৈতিক দল ও জনগণ। সুতরাং সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করাবেন না।’
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদ সদস্য শ হাবিবুর রহমান রিজু, সহনিরাপত্তাবিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন আজাদ, সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ঢাকা বার আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
আ.দৈ/আরএস