রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫,
১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ই-পেপার

রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয়
ঈদে সড়ক নিরাপত্তা বড় চ্যালেঞ্জ
মরিয়ম সেঁজুতি
Publish: Wednesday, 12 March, 2025, 4:33 PM  (ভিজিট : 77)

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে বেড়েছে ডাকাতি ও ছিনতাই। শুধু রাতেই নয়, দিনদুপুরেও সড়কে যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে, গাছ ফেলে হানা দিচ্ছে ডাকাতরা। যাত্রীদের মারধর করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তারা। এসব ঘটনায় পরিবহনের যাত্রীসহ সাধারণ মানুষে মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। 

সড়কে ডাকাতির কারণে আসন্ন ঈদে পরিবহন খাতে অর্ধেক বাজার হারানোর আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। ফলে সড়ক-মহাসড়কে নিরাপত্তায় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিচ্ছেÑ তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সন্ধ্যা নামলেই চারদিকে ছিনতাই-ডাকাতির আতঙ্কে সাধরণ মানুষ বাইরে বের হতে ভয় পায়। এমনকি বাসের মধ্যেও কেউ এখন নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারছেন না। বিশেষ করে নারীরা বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। 

ডাকাতি করে সর্বস্ব লুট করা ছাড়াও ধর্ষণের মতো পৈশাচিক ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিনই সারা দেশে এ রকম অপরাধ চিত্র বাড়ছে। এর সঙ্গে রয়েছে সড়কের যানজট ও দুর্ঘটনার মতো বিষয়। এছাড়া ঝুঁকি আছে-চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, পকেটমার, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য। এমন পরিস্থিতিতে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সড়কে নিরাপত্তা বজায় রাখাই এখন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
 
যদিও হাইওয়ে পুলিশ বলছে, নানান সীমাবদ্ধতা থাকার পরও মহাসড়কে নিরাপত্তা বাড়াতে এরইমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগসহ জনবল বাড়ানো হয়েছে। সেইসঙ্গে হাইওয়ে থানার পাশাপাশি জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে সড়কগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (অপারেশনস উত্তর বিভাগ) ইমতিয়াজ আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ঈদের আগে মহাসড়কে যানজটে যাত্রীদের ভোগান্তি আমরা দেখেছি। 

তবে এবার যেটা হচ্ছে মহাসড়কে অপরাধ বেড়েছে। ৫ আগস্টে পর পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের পাশাপাশি হাইওয়ের পুলিশও নানা সংকটে মুখে পড়েছে। সীমাবদ্ধতার মধ্যে এখনো দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে আমাদের সদস্যদের। আমাদের গাড়ির সংকট রয়েছে। ফোর্সের সংখ্যাও কম। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদযাত্রার সময় নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে প্রায় ৭০০ পুলিশ সদস্য কাজ করবেন। পুলিশ ছাড়াও সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাস টার্মিনাল যেমন গাবতলী, মহাখালী, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া ও সায়দাবাদ এলাকায় নজরদারি চালাবে। সড়ক ও পরিবহন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া, ঈদের আগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিআরটিসি জানিয়েছে, নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চুরি-ডাকাতি : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কয়েক দিন পুলিশহীন থাকায় চরম অবনতি ঘটেছিল আইনশৃঙ্খলার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার কয়েক দিন পর পুলিশ সদস্যরা কাজে ফিরলেও তাঁদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা কাটেনি। সহায়তার জন্য সেনাসদস্যরা থাকলেও পুলিশ সদস্যরা এ শঙ্কার কারণে পুরোদমে মাঠে সক্রিয় হচ্ছেন না। এর সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা। অবনতি হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির। ফলে দেশে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা। তারা মানুষকে জিম্মি করে, অস্ত্র ঠেকিয়ে, গুলি করে অথবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে নিরাপত্তাহীনতাবোধ ও আতঙ্ক।
 
পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক কালে ডাকাতি ও দস্যুতার (ছিনতাই) ঘটনায় মামলা বেড়েছে। গত জানুয়ারিতে দেশে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৪২টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৯টি বেশি (৬৯ শতাংশ)। ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় গত ডিসেম্বরে মামলা হয়েছে ২৩০টি, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ৯৫টি (৭০ শতাংশ) বেশি।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত আগস্ট থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ১৪৫টি, যা ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের তুলনায় ৩৮২টি বেশি (৫০ শতাংশ)। অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র সব সময় বোঝা যায় না। পুলিশ যে ঘটনাগুলোতে তাদের কাছে অভিযোগ যায় কিংবা মামলা হয়, সেগুলোই নথিবদ্ধ করে। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী পুলিশের কাছে যান না ঝামেলার ভয়ে। থানাগুলো কখনো কখনো চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা না নিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র বা টাকা হারানোর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, অপরাধ পরিস্থিতির উন্নতির অন্যতম নির্দেশক হলো, মানুষ ঘরে বাইরে কিংবা চলাচলে নিরাপদ বোধ করছে কি না। মানুষ এখন নিরাপদ বোধ করছে না। 

সড়কে যানজট: এবারের ঈদুল ফিতরে বাড়ি ফেরা মানুষের যাতায়াতে সড়কপথে ১৫৫টি স্পটে তীব্র যানজট হতে পারে-এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তরা। বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় জানানো হয়েছে যে আসন্ন ঈদুল ফিতরের সময় ৫টি মহাসড়কে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। 

বিশেষ করে ঢাকা ও অন্যান্য শহর থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপের কারণে এসব মহাসড়কে ভোগান্তি তৈরি হতে পারে। ঈদের আগে ও পরে এসব সড়কে বিশেষ নজরদারি রাখা হবে। তারা আরো জানান-চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, পকেটমার, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্যরে বড় ঝুঁকি রয়েছে। পাশাপাশি লক্কড়-ঝক্কড় বাস, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়কের পাশের ভাসমান বাজার এবং নসিমন, করিমন, ইজিবাইক চলাচলে দুর্ঘটনার উদ্বেগ থাকছে ঈদযাত্রায়।

সভায় জানানো হয়, দেশের ৫টি প্রধান মহাসড়কে ১৫৫টি সম্ভাব্য যানজটের স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্পটের মধ্যে রয়েছে: ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৪৯টি স্পট, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ৫৪টি স্পট, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৬টি স্পট, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৪২টি স্পট, ঢাকা-পাটুরিয়া-আরিচা মহাসড়কে ৮টি স্পট। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার মহাসড়কে ৪৮টি, ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে ৫২টি, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৬টি, ঢাকা থেকে সিলেট মহাসড়কে ৪১টি এবং ঢাকা-পাটুরিয়া-আরিচা মহাসড়কে ৮টি যানজট স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে।

সড়ক পরিবহণ এবং সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, ১৫ রজমানের মধ্যে সড়কের সব ত্রুটি সংস্কার করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে, হাইওয়ে এবং পদ্মা সেতুর গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার থেকে ৮০ কিলোমিটার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে নির্বিঘ্ন করতে বিআরটি প্রকল্পে একদিকে পরিবহণ চলাচল করা হবে। এক্ষেত্রে যাওয়ার সময় গাজীপুরমুখী এবং ফেরার সময় (ঈদের পর) ঢাকামুখী হতে পারে।

জননিরাপত্তা বিভাগের সুপারিশে ঈদের আগে ৭টি মহাসড়কের সংস্কার কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সড়কগুলোতে সৃষ্ট খানাখন্দ এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য মেরামত কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা হবে। বিশেষভাবে কাঁচন ব্রিজ থেকে ভুলতা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে। ঢাকা থেকে প্রায় ৭৭৫টি বাস এবং অন্যান্য অঞ্চলে ৪৭০টি বাস চলাচল করবে ঈদ স্পেশালের জন্য। বিআরটিসি ইতিমধ্যে ১২৪৫টি বাস প্রস্তুত করেছে যেগুলো বিশেষভাবে ঈদযাত্রার জন্য চালানো হবে। ঈদযাত্রার আগেই এসব বাসের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ঈদ উপলক্ষে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে একটি সুপারিশ করা হয়েছে, যা ২৫-২৮ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

গার্মেন্টস কর্মীদের জন্য বিশেষ বাস ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া, গার্মেন্টস কর্মীরা ঈদের আগেই তাদের বেতন-বোনাস পেয়ে যাবেন বলে বিজিএমইএ জানিয়েছে। এর ফলে, কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে না। গাবতলী, মহাখালী, সায়দাবাদ, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন বাস টার্মিনালে সিসিটিভি ক্যামেরা ও লাইট সিস্টেম বসানোর প্রস্তুতি চলছে, যাতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

নারী নিরাপত্তা: অনেকদিন থেকেই চলন্ত গাড়িতে অথবা লঞ্চে মেয়েরা ধর্ষিতা হচ্ছেন। পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত দুয়েকটা ঘটনা এসেছে, যা আরো বেশি আতঙ্ক বাড়িয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। চলন্ত বাসে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে একই জায়গায় বাসটি ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে ভোর ৪টার দিকে ডাকাতরা নেমে যায়। এ সময় ডাকাতি ছাড়াও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন যাত্রীরা। এর আগে গত ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় একটি চলন্ত বাসে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। গত ২০২২ সালে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা চলন্ত বাসে ডাকাতির পর ধর্ষণের শিকার এক নারী যাত্রীর জবানবন্দি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। 

পত্র-পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। আর ঘটনা কেবল ধর্ষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধর্ষিতাকে হত্যা করা হচ্ছে নির্মমভাবে অথবা ধর্ষিতা পরিবার, সমাজ ও লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা করছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহাসড়কে এসব ডাকাতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে এবং রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সব সদস্য থাকবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গত ৯ মার্চ জানিয়েছেন, ঢাকায় চুরি-ছিনতাইসহ অন্যান্য আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ঢাকার প্রধান ৪টি বাস টার্মিনাল সিসিটিভির আওতায় আনা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তারা মহাসড়কে টহল দেবে, যাতে ডাকাতি না ঘটে এবং রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সব সদস্য থাকবে।

সড়ক দুর্ঘটনা: প্রতি বছরই ঈদ যাত্রায় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হয় অনেক যাত্রীকে। আজ রোববার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ঈদুল ফিতর যাত্রায় গত ৪ থেকে ২০ এপ্রিল মোট ১৭ দিনে সারা দেশে ২৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪৬২ জন আহত হয়েছেন। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ১৯ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হন।

 অন্যদিকে গত শনিবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী দাবি করেন, ‘চলতি বছর ঈদযাত্রায় (৪-১৮ এপ্রিল) ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯৮ জন। এবারের সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে সরকারের বিশেষ নজর দিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে উপদেষ্টা বলেছেন, হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তারা মহাসড়কে টহল দেবে, যাতে ডাকাতি না ঘটে এবং রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সব সদস্য থাকবে। তিনি আরো বলেন, ঈদের সময় গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, মহাখালী, গাবতলী এবং সায়দাবাদ টার্মিনাল এলাকায় সিসিটিভি বসানো হবে এবং সেগুলো মনিটরিং করা হবে।

টিকেট কালোবাজারি, বাড়তি ভাড়া ও চাঁদা নিয়ন্ত্রণ: ঈদ সামনে রেখে বরারবরের মতো এবারেও কালোবাজারি ও বাড়তি ভাড়া দেয়ার শঙ্কা রয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। তবে উপদেষ্টা বলেছেন, এসব জায়গা বিভিন্ন টিম নিয়মিত পরিদর্শন করবে। আমরা ঈদে মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। কালোবাজারেও কোনো টিকিট বিক্রি করা হবে না বলে বৈঠকে জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম। তিনি বলেন, কালোবাজারী টিকিট বিক্রির অভিযোগ গ্রহণের জন্য আমরা হেল্প ডেস্ক স্থাপন করব। এধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত যে কারও বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, ১৪ মার্চ থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। কালোবাজারি রোধে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচটি টিকিট কাটতে পারবেন।

আ.দৈ/আরএস

   বিষয়:  ঈদে   সড়ক   নিরাপত্তা   বড়    চ্যালেঞ্জ  
আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

দ্রুতই জুলাই সনদ তৈরি হবে: আলী রীয়াজ
কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর ঢাকায় গ্রেফতার
আইন উপদেষ্টার বাসায় পড়ে থাকা ড্রোনে ধ্বংসাত্মক ডিভাইস পাওয়া যায়নি
মেট্রোরেল-বিদ্যুৎ-সড়ক-রেলে সেবা বিঘ্নিত হলে দুঃখ প্রকাশ বাধ্যতামূলক
রোম থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিএনসিসিতে বর্জ্যব্যবস্থাপানা বিভাগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দলের সভা
পদত্যাগ করলেন আটাবের সবুজ মুন্সী
ঢাকা দুই সিটিতে আওয়ামী দোসর ও দুর্নীতিবাজদের রক্ষায় বিএনপির ব্যাপক তদবির
রানা প্লাজা ট্রাজেডির ১২ বছর , তবু মেলেনি বিচার, নিশ্চিত হয়নি ক্ষতিপূরণ
জাতীয়- এর আরো খবর
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মাসুদ আলম

প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

মফস্বল সম্পাদক : ০১৭৭৫৮১৮২৭৫, ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik@gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝