‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার সময় পুলিশের বাধায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। বিক্ষোভকারীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠনসহ মোট ৯ দাবিতে রাজপথে আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পুলিশের।
এ ঘটনায় ‘ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার নামে পুলিশের ওপর আক্রমণ’ শিরোনামে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ডিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
পুলিশের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকাল আনুমানিক ৩টা ৩৫ মিনিটের দিকে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা নামে নারী-পুরুষসহ ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি বিক্ষোভকারী দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে বাধা দেয়। এসময় ওই পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। নিকটবর্তী স্থানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করলে তারা উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে উদ্ধত ও মারমুখী আচরণ শুরু করে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসময় বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের নখের আঁচড়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। একপর্যায়ে তারা পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।
এসময় তাদের হামলায় রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন গুরুতর আহত হন। এছাড়া হামলাকারীদের আঘাতে রমনা ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আহত হন। পরবর্তী সময়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের মাধ্যমে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আ.দৈ. /কাশেম