বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন,‘গত ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হলেও ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। অর্জিত বিজয়কে ব্যর্থ করার জন্য নানাবিধ অপতৎপরতা শুরু করেছে। দেশকে কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিনত করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমিউনিটি সেন্টারে শেরেবাংলা নগর উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত যাকাতের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ইফতার আয়োজনে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আল কোরআনকে বাদ দিয়ে মানবরচিত মতবাদে রাষ্ট্র গঠন হলে সে রাষ্ট্রে কোনো দিন শান্তি আসবে না। কারণ মানবতার মুক্তির মহাসনদ হিসেবে আল কোরআন নাযিল করা হয়েছে। তাই রমজানের প্রকৃত শিক্ষা কাজে লাগিয়ে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র করার প্রত্যয় গ্রহণ করতে হবে।’
এ সময় থানা আমির আব্দুল আউয়াল আজমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে প্রধান আলোচক হিসেবে যাকাতের তাৎপর্য বিষয় আলোচনা পেশ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাইখ ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘ গত ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন হলেও ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। অর্জিত বিজয়কে ব্যর্থ করার জন্য নানাবিধ অপতৎপরতা শুরু করেছে। পতিত স্বৈরাচার রাষ্ট্রের সকল অঙ্গপ্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনকে কার্যকর ও ফলপ্রসূ করতে রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার করা জরুরি। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন ফ্যাসিবাদকে নতুন করে সুযোগ করে দিতে পারে। তাই আমরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে পতিতরা আবার ছিদ্রপথ খুঁজবে।’
তিনি বলেন, ‘রমজান হলো এমন এক বরকতপূর্ণ মাস যে মাসে আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, রমজান মাস হলো সে মাস, যে মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে। যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ অনুসারীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশক, আর ন্যায়-অন্যায়ের মধ্যে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাসটি পাবে, সে রোজা রাখবে। (সুরা আল বাকারাহ, আয়াত-১৮৫)। আর হাদিসে কুদসিতে বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘বান্দার সব আমল তার নিজের জন্য; কিন্তু শুধু রোজা আমার জন্য। তাই আমি নিজ হাতেই এর প্রতিদান দেব।’ (সহিহ আল বোখারি, হাদিস নম্বর-১৯০৪)।’
আ. দৈ./