ঘরের মাঠের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসরে কোনো ম্যাচ জিততে না পারলেও আর্থিক পুরস্কার পাচ্ছে পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুটি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান।দুই ম্যাচেই হেরেছে স্বাগতিকরা। গ্রুপ পর্বে তাদের বাকি ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। যেখান থেকে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের শেষ ম্যাচে গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল পাকিস্তানের। তবে বৃষ্টির কারণে টসই হতে পারেনি। প্রায় দেড় ঘণ্টার অপেক্ষার পর ম্যাচটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে দুই দলই এক পয়েন্ট করে পেয়েছে। এবারের আসর থেকে পাকিস্তানের প্রাপ্তি এই এক পয়েন্টই।
এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রতিটি দল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য পাবে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার বা প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ ৩ হাজার টাকা করে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে গ্রুপপর্বে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের আলাদা অর্থ। প্রতি ম্যাচে বিজয়ীরা ৩৪ হাজার ডলার বা প্রায় ৪১ লাখ ৮ হাজার টাকা করে পাবে।
পাকিস্তান কোনো ম্যাচে জয় না পেলেও অংশগ্রহণ বাবদ ১ কোটি ৫১ লাখ ৩ হাজার টাকা পকেটে পুরবে। এ ছাড়া রয়েছে টুর্নামেন্ট শেষে অবস্থানের ভিত্তিতে আর্থিক পুরস্কার। দুটি আলাদা গ্রুপে ভাগ হয়ে দলগুলো খেললেও স্থান নির্ধারণ হবে সবার পয়েন্টের ভিত্তিতে।
নিজেদের গ্রুপে চার নম্বরে থেকে শেষ করা পাকিস্তান সপ্তম বা অষ্টম স্থানে থাকবে। তাই প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার বা প্রায় ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ কোনো ম্যাচ না জিতেও সবমিলিয়ে প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা পাবে পাকিস্তান।
৮ দলের এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় ২০১৭ আসরের চেয়ে প্রাইজমানি বাড়ানো হয়েছে ৫৩ শতাংশ। আইসিসি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে– চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রাইজমানিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার বা প্রায় ২৭ কোটি ৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। রানার্সআপ হওয়া দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে চ্যাম্পিয়ন দলের অর্ধেক অর্থ। অর্থাৎ, তারা পাবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার বা প্রায় ১৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ দল প্রাইজমানি হিসেবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার বা প্রায় ৪ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানধারী দুই দল পাবে সমান ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার বা প্রায় ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা করে।
এমআই