বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের আকার আট লাখ কোটি টাকার মতো হতে পারে। এ বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হতে পারে ৫ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা এবং বাজেট ঘাটতি থাকবে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে বক্তব্য প্রদানকালে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি।
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ শতাংশ। পাঁচ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে আরও দুই বছর সময় লাগবে।
ব্যাংকখাত নিয়ে তিনি বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকখাতে অনুৎপাদক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা, যা গত জুনে ছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপকে সমালোচনা করে জাহিদ হোসেন বলেন, "মূল্যস্ফীতির আগুন নেভানোর চেষ্টা না করে বরং তাতে তেল ঢালা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে প্রবৃদ্ধি বাড়ার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি কমেছে। ২০২২ সাল থেকে প্রতিমাসে গড়ে ১০০ কোটি ডলার রিজার্ভ কমেছে।"
তিনি আরও যোগ করেন, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারিভাবে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধির দাবি করা হলেও বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রকৃত প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ৪.২ শতাংশ।