ভারতের আবহাওয়া দপ্তর তাদের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছে ‘অবিভক্ত ভারত’, যেখানে একদা ব্রিটিশ ভারতের অংশ থাকা বর্তমান দেশগুলোর প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তরও এ আমন্ত্রণ পেয়েছিল। তবে সরকারি ব্যস্ততা এবং খরচ সাশ্রয়ের যুক্তিতে তারা অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া দপ্তরের (বিএমডি) কার্যনির্বাহী পরিচালক মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা দিল্লির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করছি। মাসখানেক আগে আমন্ত্রণপত্র পেয়েছি। তবে সরকারি খরচে অনাবশ্যক বিদেশ সফর এড়াতে আমরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি না।
পাকিস্তান ইতোমধ্যে ভারতের ডাকে সাড়া দিয়েছে এবং তাদের প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে অংশ নেবে বলে নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ না যাওয়ার সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন মোমিনুল। তার দাবি, বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তর এবং ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তিনি নিজেও ডিসেম্বর মাসে ভারতের আবহাওয়াবিদদের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গিয়েছিলেন।
ভারতের এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ছাড়াও ভুটান, আফগানিস্তান, মায়ানমার, মলদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদেরও অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
১৮৭৫ সালে যাত্রা শুরু করা ভারতের আবহাওয়া দপ্তর তাদের অন্যতম পুরনো একটি সংস্থা। এর শুরুটা হয়েছিল ১৮৬৪ সালের কলকাতার ভয়াবহ ঝড়, ১৮৬৬ এবং ১৮৭১ সালের খরার পরে। ব্রিটিশ সরকার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণের জন্য তখন এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করে। ১৫০ বছরের এই পথচলায় স্মরণীয় করে রাখতে ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয় বিশেষ স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করবে। প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লির রাজপথে একটি বিশেষ ট্যাবলোর মাধ্যমে আবহাওয়া দপ্তরের অবদান তুলে ধরা হবে।
আ. দৈ/ আফরোজা