বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫,
২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
অর্থ-বাণিজ্য
অফশোর ব্যাংকিংয়ে সাড়ে আট শতাংশ মুনাফা পাবে
জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অফশোর ব্যাংকিং
রমজান আলী
Publish: Tuesday, 10 September, 2024, 5:11 PM  (ভিজিট : 151)

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অফশোর ব্যাংকিং। এই ব্যাংকিং পদ্ধতিতে অসুবিধার চাইতে সুবিধাই বেশি। খুব সহজেই একাউন্ট খোলাসহ সাধারণ আমানতে চেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। এছাড়া যখন খুশি তখন আবার ডলার তুলেও নিতে পারে। অফশোর ব্যাংকিং হচ্ছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিকের নিজের দেশ ব্যতীত অন্য কোনো দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার পদ্ধতি। 

ব্যাংকাররা বলছেন, অফশোর ব্যাংকিংয়ে যেকোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি দেশ বিদেশে সহজ শর্তে ব্যবসা করতে পারবে। অনুমোদিত নতুন আইনের আওতায় সরকার এই ব্যাংকিং কার্যক্রমে আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থার সাথে এর পার্থক্য হলো এতে বিধিনিষেধ একেবারেই কম। গ্রাহকের তথ্য সংক্রান্ত চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ অফশোর ব্যাংকিং আইন ২০২৪-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি, রিজার্ভ সঙ্কট ও এলসি খোলার সঙ্কট সমাধানসহ বিদেশী বিনিয়োগ আরো উৎসাহিত হবে।

ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, কোনো অনাবাসী ব্যক্তি বা কোম্পানি যখন বাংলাদেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে বিদেশী মুদ্রা পাঠাবে তখন সে নিজের প্রয়োজনে এই অর্থ নিতে পারবে। পরিবারের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। আবার টাকায় এনক্যাশ করে শেয়ার বা বন্ড কিনতে পারবে। মূলত বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়ানো, রিজার্ভ সঙ্কট, এলসি খোলার সঙ্কট সমাধানে এই অফশোর ব্যাংকিং এর নতুন আইন কাজ করবে বলে মনে করছেন ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তারা। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডলার সরবরাহ, ডলার সংকট কাটাতে নেয়া উদ্যোগের ইতিবাচক। যা দিয়ে আমদারি খরচ মিটানোর পাশাপাশি জমবে রিজার্ভও পরিমাণ। এতো দিন ডলার আয়ের বড় উৎস রপ্তানি আয়ে, তারপরেই আছে প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স, তবে এবার ভার পাশাপাশি যোগ হয়েছে দেশের ভিতরেও অফসোর ব্যাংকিং।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, কয়েক মাসেই জমা হয়েছে ৫০ মিলিয়ন ডলারও বেশি। সামনে এটা আরোও বাড়তে থাকবে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংক অফশোর ডিপোজিট ল্যাকাউন্ট নামে র‌্যাংকিং সেবা চালু করেছে, এ ব্যবসায় প্রবাসীরা, প্রবাসীদের দেশে থাকা আত্মীয়-স্বজন এবং নিদেশী নাগরিক আর প্রতিষ্ঠান বৈদেশিক মুদ্রায় নামানত রাখতে পারছেন,  সাড়ে আট শতাংশেরও বেশি হারে সুদ, যা কর মুক্ত, আর এসব কারনে ভালো জনপ্রিয় হচ্ছে অফশোর ব্যাংকিং।
এব্যাপারে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘অফসোর ব্যাংকিংয়ের জন্য বিভিন্ন দেশে প্রচারও প্রচারণা চালাচ্ছি। অফসোর ব্যাংকিং চালু করার পর থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। অফসোর ব্যাংকিং কমাবে বিদেশী ঋণ নির্ভরতা, পাশাপাশি বাড়বে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগও, সব মিলে ডলার সংকট থেকে বেরিয়ে আসবে দেশ।’
এব্যাপারে ইউসিবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  আরিফ কাদেরী বলেন, ‘বর্তমান নীতিমালা সহজ হওয়াতে আগের চেয়ে ভালো সাড়া পাচ্ছি। তবে এটার জন্য অনেক প্রচারও প্রচারণা চালাতে হবে। এখন এখন প্রচারও প্রচারণা চালানোর জন্য উদ্যোগ নিচ্ছি।’

সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মারুফ বলেন, ‘এখন সর্বাচ্চ মুনাফা দেয়া হচ্ছে অফসোর ব্যাংকিংয়ে। ফলে আগের তুলনায় এখন ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আগের নীতিমালার চেয়ে বর্তমান নীতিমালা সহজ হওয়ার ফলে গ্রাহকরাও ভালো সাড়া দিচ্ছে।’

ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান জামান চৌধুরী বলেন, ‘অফসোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভালো ডলার আসতেছে। খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। সরকারের সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ। ‘অফসোর ব্যাংকিং সামনে অনেক জনপ্রিয় হবে। এতে ডলার সংকট কেটে যাবে অনেকটা।’

এসআইবিএল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ বলেন, অফসোর ব্যাংকিংই হবে এখন দেশের জনপ্রিয় ব্যাংকিং। এর মাধ্যমে প্রবাসীদের পাশাপাশি দেশেরও  অনেক উপকার হবে। একদিনে প্রবাসীরা পাবেন অনেক মুনাফা। অন্যদিকে দেশে  আসবে ডলার। ফলে দেশের অর্থনৈতিক চাকা আরো সফল হবে।’

বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৯টি ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রমে যারা বিনিয়োগ করবে তারা বিদেশী বা অনিবাসী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান হতে হবে। কেবল মুনাফা ও লোকসানের হিসাব যোগ হয় ব্যাংকের মূল মুনাফায়। অফশোর ইউনিট থেকে ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ দিয়ে থাকে। এটি এমন ব্যাংকিং কার্যক্রমকে নির্দেশ করে যা শুধুমাত্র অনিবাসীদের যেমন মাল্টিন্যাশনাল পণ্য, সেবা এবং ফাইন্যান্সারদের সম্পৃক্ত করে। এটি দেশীয় ব্যাংকিংয়ের সাথে যুক্ত হয় না।

 অফশোর ব্যাংকিং কী?

অফশোর ব্যাংকিং হলো ব্যাংকের ভেতরে পৃথক ব্যাংকিং সেবা। প্রচলিত ব্যাংকিং বা শাখার কার্যক্রমের চেয়ে ভিন্ন অফশোর ব্যাংকিং। কারণ এ জাতীয় কার্যক্রমে আমানত গ্রহণ ও ঋণ দেয়ার দুই কার্যক্রমই বৈদেশিক উৎস থেকে আসে ও বিদেশী গ্রাহকদের দেয়া হয়। এই ব্যাংকিং কার্যক্রম শুধু অনিবাসীদের মধ্যেই সীমিত থাকে।

অফশোর ব্যাংকিংয়ের সুবিধা : অফশোর ব্যাংকিং হচ্ছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মালিকের নিজের দেশ ব্যতীত অন্য কোনো দেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার পদ্ধতি। ট্যাক্স সুবিধা, সম্পদের নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা, নিরাপত্তা ও উচ্চ সুদহারের জন্য অনেকেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে।

একাধিক মুদ্রায় ব্যাংকিং: অফশোর ব্যাংকিংয়ের সুবিধা হচ্ছে একাধিক দেশের একাধিক মুদ্রায় এই ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। সাধারণত অধিকাংশ গ্রাহক যেই দেশের মুদ্রায় ব্যাংকিং করেন সেই দেশের মুদ্রাতেই এধরণের ব্যাংকিং ব্যবস্থা পরিচালিত হয়।

সুবিধাজনক ব্যাংকিং: অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে এইধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়। গ্রাহকরা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে এটিএম বুথ, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারেন।অধিক গোপনীয়তা: অফশোর ব্যাংকিংয়ের গোপনীয়তা অনেক বেশি হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিতে গোপনে শেয়ার কেনা যায়, এবং নতুন কেনা শেয়ারের ব্যাপারটি গোপনও রাখা যায়। অধিক ব্যক্তি যদি শেয়ার কেনেন তাহলে শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পায়, এবং এতে করে শেয়ারের আকর্ষণ কমে যায়।

ট্যাক্সবিহীন সুদ: এধরণের পদ্ধতিতে ট্যাক্স কর্তনের পূর্বের অবশিষ্ট অর্থের ওপর সুদ দেওয়া হয়। বিদেশি আয়ের ওপরে যারা ট্যাক্স দেন না তারা এই পদ্ধতিতে অধিক রিটার্ন উপভোগ করতে পারেন। 

বিদেশী কোম্পানিকে ঋণ দেয়া ও বিদেশী উৎস থেকে আমানত সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে অফশোর ব্যাংকিংয়ে। স্থানীয় মুদ্রার পরিবর্তে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব হয় অফশোর ব্যাংকিংয়ে। অফশোর ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রচলিত ব্যাংকের কোনো নিয়ম-নীতিমালা প্রয়োগ করা হয় না। আলাদা আইনকানুনের মাধ্যমে এ তহবিল পরিচালিত হয় ও হিসাব সংরক্ষণ করা হয়।
নতুন আইনে যা বলা হয়েছে: বাংলাদেশে ১৯৮৫ সালে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে সে সময় কাজ শুরু হয়েছিল।

 পরে ২০১৯ সালে অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অফশোর ব্যাংকিং আইন ২০২৪-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদ। এর ফলে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী অনিবাসী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলো অফশোর অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। এই খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে লাইসেন্স নিতে হবে। শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী ব্যাংকগুলোতে অফশোর অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। যাদের লাইসেন্স আছে তাদের নতুন করে নিতে হবে না।

অনুমোদিত এই আইনের অধীনে ব্যাংকগুলো বিদেশী বা অনিবাসী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় যে আমানত গ্রহণ করবে, তা স্বাভাবিক ব্যাংকিং পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারবে। বিদেশে যে বাংলাদেশী বসবাস করছেন তার পক্ষে দেশে অবস্থানরত কোনো বাংলাদেশী নাগরিক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। সহায়তাকারী হিসেবে তারা অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবেন। পাঁচ ধরণের বৈদেশিক মুদ্রা ডলার, পাউন্ড, ইউরো, জাপানি ইয়েন ও চীনা ইউয়ানে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।

বর্তমানে যে অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থা রয়েছে তাতে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) না থাকলে আমানতের আয়ের উপর ১৫ শতাংশ কর দিতে হয়। আর টিআইএন থাকলে ১০ শতাংশ কর দিতে হয়। নতুন আইনে কোনো কর দিতে হবে না। একইসাথে অফশোর ব্যাংকিং লেনদেনে যে সুদ আসবে, তার উপর কোনো কর আরোপ করা হবে না। অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য কোনো সুদ বা চার্জ দিতে হবে না।

বর্তমানে অনাবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের থেকে আমানত নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। এ আইনটি পাস হলে তফসিলি ব্যাংকের অফশোর ইউনিটগুলো বিদেশীদের পাশাপাশি অনাবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের থেকেও আমানত নিতে পারবে। অনুমোদিত নতুন আইনে কোনো ঋণসীমা রাখা হয়নি। এতে যেকোনো পরিমাণ লেনদেন করা যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশে ইপিজেডে যে অফশোর অ্যাকাউন্ট রয়েছে তা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট। এসব অ্যাকাউন্টে কোনো লাভ দেয়া হয় না। তবে নতুন আইনে অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমে লাভ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।


আ. দৈ. /কাশেম/ রমজান

আপনার মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ৯ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মামলা
‘আমি জুয়ার প্রমোশনে যুক্ত হব না: প্রভা
৫০০ টাকার নতুন নোটে বিশেষ নকশা ও নিরাপত্তা উপাদান
দেশে আসলে তারেক রহমানকে দেওয়া হবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা
সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মন্ত্রণালয়কে তথ্য নেই: বাণিজ্য উপদেষ্টা
আরো খবর ⇒

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও এফএসিডি-সিএবি’র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর
জাতির অভিভাবক 'বেগম জিয়ার’ দ্রুত সুস্থতা কামনায় ডিএনসিসিতে দোয়ার অনুষ্ঠান
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় জিয়া পরিষদ, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বিশেষ দোয়া
শ্যামনগরে আটুলিয়া ইউনিয়নে অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ
মেহেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান
অর্থ-বাণিজ্য- এর আরো খবর
close
সম্পাদক ও প্রকাশক : কামরুজ্জামান সাঈদী সোহাগ
নির্বাহী সম্পাদক : তৌহিদুর রহমান

ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ মাসুদ আলম
প্রকাশক কর্তৃক ১১/১/বি উত্তর কমলাপুর, মতিঝিল থেকে প্রকাশিত
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : সাগুফতা ডি লরেল (তৃতীয় তলা), কমলাপুর বাজার রোড, মতিঝিল বা/এ, ঢাকা-১০০০

ফোন : ০১৭১২-৫০১২৩৬, ০২-৫৮৩১৬১০৯ , ই-মেইল : ajkerdainik$gmail.com
About Us    Advertisement    Terms & Conditions    Privacy Policy    Copyright Policy    Circulation    Contact Us   
© ২০২৪ আজকের দৈনিক
🔝