ক্রিকেটের মাঠে খেলা ছাড়াও আবেগের ছোঁয়া থাকে, যা মাঝে মাঝে জীবন-মরণ ব্যাপার হয়ে ওঠে। তবে কখনো কখনো ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা, যা সব কিছু এলোমেলো করে দেয়। এমন ঘটনার পেছনে থাকে গভীর কোনো কাহিনি, যা স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকা ক্রিকেটকে ব্যাহত করতে পারে।
অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলো যেন ক্রিকেটের যাত্রা থামাতে না পারে, সেজন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সর্বদা সতর্ক নজরদারি চালিয়ে যায়। তবে এর পরও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে, বিশেষত ২০ ওভারের টুর্নামেন্টগুলোতে, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রভাব ব্যাপকভাবে দেখা যায়।
গত বছর ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদন বাংলাদেশে সাড়া ফেলে। সেখানে বলা হয়, গত দুই বছরে বিপিএলে ৩০টিরও বেশি দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। তবে এইসব ঘটনায় তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। চলতি বিপিএলে বেশ কিছু সন্দেহজনক ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ (আকসু) তীক্ষ্ণ নজরদারি করছে।
তৃতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বোলার ওশানে থমাস এক ওভারে ১৫ রান দেন, যার মধ্যে ছিল চারটি নো বল এবং দুটি ওয়াইড। এরপর খুলনার কোচ তালহা জুবায়ের ওশানের ফিটনেসের ঘাটতির কথা বলেন এবং তার নো বল করার প্রবণতাও উল্লেখ করেন।
এছাড়াও দুর্বার রাজশাহীর পেসার শফিউল ইসলাম ধারাবাহিকভাবে পাওয়ারপ্লেতে অতিরিক্ত রান দিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেছেন। ৩৫ বছর বয়সী এই পেসারের ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক আরিফুল হক রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৩ ওভারে ৫১ রান দিয়ে সন্দেহের জন্ম দিয়েছেন। বাউন্ডারি ছোট এবং উইকেট বোলারদের পক্ষে না থাকায় এমনটি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঢাকার বোলার আলাউদ্দিন বাবুর পরপর তিনটি ওয়াইড বল এবং আফগান স্পিনার আমির হামজার নো বলও আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। স্পিনার হয়ে এমন নো বল করায় অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে।
বিসিবির আকসু প্রধান মেজর রাইয়ান আজাদ জানিয়েছেন, তাদের দল নিয়মিত কাজ করছে এবং অনিয়মের তথ্য পেলে তারা ব্যবস্থা নেবে। কেউ যদি অনিয়মের বিষয়ে কিছু জানেন, তাদের তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আ. দৈ./ সাধ