প্রাণ বাঁচাতে কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে ট্রলারে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় নারী ও শিশুসহ ৩৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের সাগরের মুন্ডারডেইল পয়েন্ট এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।
তিনি বলেন, দুপুরে টেকনাফে সাবরাং ইউনিয়নে মুন্ডারডেইল পয়েন্টে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি ট্রলার সাগরে ভাসতে দেখেন বিজিবির সদস্যরা। এক পর্যায়ে ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে তীরে ভিড়ে। পরে ট্রলারে থাকা ৩৬ রোহিঙ্গাকে কূলে নামিয়ে আনা হয়। এদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকিয়াবের আগে নাশং এলাকার বাসিন্দা তারা। সাগরপথে তারা ইঞ্জিনচালিত কাঠের ট্রলারে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালান।
গত ৫ দিন ধরে তারা সাগরে ট্রলারের মধ্যেই অবস্থান করছিলেন। এক পর্যায়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করেছেন।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানান, রাখাইন রাজ্যের পূর্ব নিয়ন্ত্রণ নিতে সরকারি জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। সেখানে সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি আরাকান আর্মিও যুদ্ধে অংশ নিতে রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। এতে কেউ অস্বীকৃতি জানালে তাদের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন-নিপীড়ন। প্রাণ বাঁচাতে তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের পুনরায় স্বদেশে ফেরত পাঠাতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের জেরে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে আসতে শুরু করে বাংলাদেশে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর আসে ৮ লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ।
আ. দৈ/ আফরোজা