দেশ থেকে স্বৈরাচার পালালেও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সামনে আরেকটি বড় যুদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল সোমবার নীলফামারীতে এক জনসভায় লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আয়োজনে সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুবাছুরি দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এই জনসভা হয়। ২০১৪ সালে সদর উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রব্বানী। তাঁর পরিবারকে নতুন বাড়ি হস্তান্তর উপলক্ষে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।
বিচারবহির্ভূত সব গুম ও খুনের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হতে হবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, পালিয়ে কেউ পার পাবেন না। দেশকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে হবে। বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকার গোলাম রব্বানীর মতো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। লাখ লাখ মানুষকে নির্যাতন করেছে। আমরা চাই না গোলাম রব্বানীর মতো আর কেউ মৃত্যুবরণ করুক।
তিনি আরও বলেন, আজ সময় এসেছে। পরিবর্তিত হয়েছে অবস্থা। স্বৈরাচার দেশ থেকে বিদায় হয়ে গেছে। পালিয়ে গিয়েছে। যদিও স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনও দেশের আনাচে-কানাচে লুকিয়ে আছে। তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। এখন সামনে আরেকটি বড় যুদ্ধ। ১৬ বছর ধরে যে অধিকারের জন্য দেশের মানুষ বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা মানুষের সহযোগিতা ও সমর্থন নিয়ে লড়াই করেছিল, সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান উপদেষ্টা রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, একটি জাতির আত্মজীবনী হচ্ছে সংবিধান। সেটা সংযোজন বা সংশোধন হতে পারে। যেখানে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্য আছে, ওটা বাদ দেওয়া যেতে পারে। সেটি হবে রাজনৈতিক দায়িত্ব। তবে বর্তমান সংবিধান অস্বীকার করা মানে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা।
জনসভায় চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নীলফামারী, দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ের ১২ শহীদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, কেন্দ্রীয় সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল প্রমুখ।
আ. দৈ/ আফরোজা