মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার ( ৩০ ডিসেম্বর ) বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দুর্বার রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ইয়াসির আলি রাব্বির বিধ্বংসী ৪৭ বলে ৯৪ রানের ইনিংসের সুবাদে ১৯৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে রাজশাহী। তবে এই বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১১ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় তারা।
১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই বিপদে পড়ে বরিশাল। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জিসান আলমের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান। আরেক ওপেনার তামিম ইকবালও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তাসকিন আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন তিনি।
ক্যারিবিয়ান কাইল মেয়ার্স ও মুশফিকুর রহিমও দলকে টানতে ব্যর্থ হন। মুশফিক ১৩ রান করে হাসান মুরাদের বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। হৃদয় ২৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেললেও মুরাদের বলেই কাটা পড়েন।
মাহমুদউল্লাহ-ফাহিমের ম্যাচ ঘোরানো ইনিংস
কঠিন পরিস্থিতিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফ জুটি গড়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। মাহমুদউল্লাহ ২৬ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় অপরাজিত ৫৬ রান করেন। আর ফাহিম আশরাফ মাত্র ২১ বলে ৭টি ছক্কায় ঝড়ো ৫৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
রাজশাহীর ভালো শুরু, কিন্তু হতাশাজনক শেষ
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী শুরুতে দুই ওপেনার জিসান আলম ও মোহাম্মদ হারিসকে ২৫ রানের মধ্যেই হারায়। তবে তৃতীয় উইকেটে এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলি রাব্বি ১৪০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে বড় পুঁজি এনে দেন।
ইয়াসিরের ইনিংসে ছিল ছক্কা-চারের ঝড়। বিশেষ করে তানভির ইসলাম ও রিপন মন্ডলকে আক্রমণ করে কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন শট খেলেন তিনি। শেষ ওভারে সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছেও তা মিস করেন। তার ৯৪ রানের ইনিংস সত্ত্বেও রাজশাহীর বোলাররা বরিশালের ব্যাটারদের বিপরীতে দাঁড়াতে ব্যর্থ হন।
যেখানে ইয়াসিরের ব্যাটিং রাজশাহীকে জয়ের আশায় রেখেছিল, সেখানেই মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিমের বিধ্বংসী ব্যাটিং রাজশাহীর পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়। বোলিং বিভাগে তাসকিন ছাড়া কেউই বল হাতে প্রভাব রাখতে পারেননি।
আ. দৈ./ সাধ