ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে গণজুতা নিক্ষেপের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ( ৩০ ডিসেম্বর ) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ঘৃণাস্তম্ভে শেখ হাসিনার পুনর্নির্মিত প্রতিকৃতিতে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
এ কর্মসূচিতে শিশু, বৃদ্ধ, নারী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সেখানে স্লোগান দিতে দিতে তারা প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ করেন। অংশগ্রহণকারীরা স্লোগানে বলেন, "জুতা মারো তালে তালে, খুনি হাসিনার দুই গালে," এবং "ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই।"
নেতৃত্ব এবং বক্তব্য
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, "জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি যারা মুছে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আজকের কর্মসূচি দেখিয়েছে, শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের যে ক্ষোভ, তা এখনো বিদ্যমান। তাকে ফিরিয়ে এনে বিচার এবং ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।"
এক শিক্ষার্থী, সাজু, বলেন, "আমরা এই বার্তা দিতে চাই যে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা ব্যর্থ হবে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানুষের ঘৃণা এখনো অটুট।"
গ্রাফিতি বিতর্ক এবং পুনঃঅঙ্কন
এর আগে, ২৮ ডিসেম্বর এনএসআইয়ের অনুরোধে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অনুমতিতে সিটি কর্পোরেশন কর্মীরা ঘৃণাস্তম্ভ থেকে শেখ হাসিনার গ্রাফিতির কিছু অংশ মুছে ফেলে। তবে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে রবিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে সেই প্রতিকৃতিটি পুনরায় আঁকা হয়।
ঘৃণাস্তম্ভে এই গণজুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি রাজনৈতিক অস্থিরতার একটি বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল।
আ. দৈ./ সাধ